জিলিপি-নাগরদোলা নয়, গাছের টানেই ভিড় মেলায়

ব্যান্ডেল-কাটোয়া লাইনে জাহান্নগর স্টেশন থেকে কয়েক পা এগোলেই ব্রহ্মাণী মন্দির। কেউ বলে মন্দিরের বয়স তিনশো, কেউ বলে আরও বেশি। জনশ্রুতি এই মন্দিরে দেবী মনসার পুজো দিয়েছিলেন চাঁদ সদাগর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পূর্বস্থলী শেষ আপডেট: ২৩ অগস্ট ২০১৭ ০৯:৩০
Share:

প্রতীকী ছবি।

জিলিপি, পাপড় বা নাগরদোলা এ মেলার টান গাছে। সেই টানেই প্রতি বছর শ্রাবণ সংক্রান্তিতে পূর্বস্থলী ১ ব্লকের জাহান্নগরে ভিড় করেন মানুষ।

Advertisement

ব্যান্ডেল-কাটোয়া লাইনে জাহান্নগর স্টেশন থেকে কয়েক পা এগোলেই ব্রহ্মাণী মন্দির। কেউ বলে মন্দিরের বয়স তিনশো, কেউ বলে আরও বেশি। জনশ্রুতি এই মন্দিরে দেবী মনসার পুজো দিয়েছিলেন চাঁদ সদাগর।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বহু বছর ধরেই গাছের মেলা বসে। চলে টানা দশ দিন। এ বার গত বৃহস্পতিবার থেকে বসেছে মেলা। প্রতিবারই রাজ্যের নানা প্রান্তের নার্সারি মালিকেরা গাড়িতে করে আম, জাম, সুপারি, লেবু, কাঁঠাল, নারকেল-সহ বিভিন্ন ফলের চারা নিয়ে হাজির হন মেলায়। থাকে নানা ধরনের ফুল গাছও। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ভিন্‌ জেলা থেকে আসা নার্সারির সংখ্যা আগের থেকে অনেক কমেছে। তাঁরা জানান, আগে উত্তর ২৪ পরগনা, নদিয়া থেকে প্রায় দেড়শো নার্সারি আসত। এখন বেশির ভাগ নার্সারিই স্থানীয়। ফলে গাছের রকমারিও কিছুটা কমেছে।

Advertisement

গাছের সঙ্গে কাঠের নানা আসবাবও মেলে মেলা থেকে কিছুটা দূরে উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে। তবে এ বার বিক্রি কিছুটা কম বলেই দাবি ব্যবসায়ীদের।

নার্সারি মালিক বিজন দেবনাথ বলেন, ‘‘বহু বছর ধরে এখানে আসছি। মেলায় আসা খরিদ্দারেরা একটা না একটা গাছ কিনেই বাড়ি ফেরেন। তবে নোট বদল, খুচরো পয়সার আধিক্য-সহ নানা কারণে এ বার বিক্রি অনেকটাই কম।’’

আর এক বিক্রেতা সুকুমার ঘোষের কথায়, ‘‘এলাকার বেশির ভাগ মানুষ কৃষিজীবী। এ বার কৃষিজাত ফসলের ভাল দর নেই। ফলে ইচ্ছে থাকলেও অনেকে চাহিদা মতো গাছ কিনতে পারছেন না।’’

এলাকার বাসিন্দা তথা গাছপ্রেমী দুলাল দেবনাথ বলেন, ‘‘গাছ নিয়ে সচেতনতা প্রচারের বহু আগেই এই মেলা নিঃশব্দে গাছ লাগানোর বার্তা দিয়েছে। মেলার দৌলতে এলাকাও সবুজে ছেয়ে গিয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন