দেখভাল নেই, আগাছায় নষ্ট একশো দিনের বাগান

পরিকল্পনা ছিল ফলের বাগান তৈরির। সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে প্রকল্পের জন্য টাকা বরাদ্দও করে পঞ্চায়েত। তবে বাসিন্দাদের অভিযোগ, কাজ শুরু হলেও বছর খানেক পরেই রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে মুখ থুবড়ে পড়ে ত্রিলোকচন্দ্রপুর পঞ্চায়েতের ত্রিলোকচন্দ্রপুর গ্রামের একটি প্রকল্প।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাঁকসা শেষ আপডেট: ০৮ জুলাই ২০১৬ ০০:৫৮
Share:

এখন ‘ফলের বাগান’। ত্রিলোকচন্দ্রপুরে তোলা নিজস্ব চিত্র।

পরিকল্পনা ছিল ফলের বাগান তৈরির। সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে প্রকল্পের জন্য টাকা বরাদ্দও করে পঞ্চায়েত। তবে বাসিন্দাদের অভিযোগ, কাজ শুরু হলেও বছর খানেক পরেই রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে মুখ থুবড়ে পড়ে ত্রিলোকচন্দ্রপুর পঞ্চায়েতের ত্রিলোকচন্দ্রপুর গ্রামের একটি প্রকল্প।

Advertisement

ত্রিলোকচন্দ্রপুর গ্রামে একটি সেচখাল রয়েছে। ডুলে খাল নামে পরিচিত ওই সেচখালের দু’পাশে ত্রিলোকচন্দ্রপুর পঞ্চায়েতের তরফে ২০১২-১৩ অর্থবর্ষে ভূমি উন্নতিকরণ ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। ঠিক হয়, কর্মসূচির কাজ হবে একশো দিনের প্রকল্পের মাধ্যমে। পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রকল্পটি রূপায়ণের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল প্রায় ২০ লাখ টাকা। সেই টাকায় শুরু হয় কাজও। পঞ্চায়েতের সূত্রে জানা গিয়েছে, গাছ লাগানো ও বাঁশের বেড়া দিতে খরচ হয় প্রায় দেড় লাখ টাকা। তারপরে ওই জায়গায় হাজার খানেক নারকেল ও পেয়ারা গাছের চারা রোপণ করা হয়। কাজ সম্পূর্ণ করতে শ্রমিকদের বেতন বাবদ প্রথম বছরে প্রায় তিন লাখ ৭০ হাজার টাকা খরচ হয়। পরের বছর গাছের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য খরচ হয় আরও ৫৫ হাজার টাকা। কিন্তু আস্তে আস্তে সেই পরিচর্চা বন্ধ হয়ে যায় বলে অভিযোগ। ফলে দিন কয়েকের মধ্যে প্রায় সব গাছই নষ্ট হয়ে যায়।

একশো দিনের প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত আধিকারিকদের একাংশের দাবি, গ্রামের মানুষ যাতে বাগান থেকে সুফল পান তার জন্যই প্রকল্পটি শুরু করা হয়েছিল। কিন্তু গ্রামবাসীদের উদ্যোগের অভাবে প্রকল্পটি সফল হয়নি। প্রথম দিকে কিছু বাসিন্দা উদ্যোগী হলেও বছর খানেক পরে তাঁদের আর কোনও হেলদোেল দেখা নজরে পড়েনি।

Advertisement

তবে গ্রামবাসীদের দাবি, প্রকল্পটি জনবহুল জায়গায় করলে এমন সমস্যা হতো না। আধিকারিকদের ক্ষোভ, সরকারি প্রকল্প হওয়ায় নজরদারিতেও কেউ গা করেননি। এর ফলে বর্ষায় ওই এলাকা ঝোপ-জঙ্গলে ভরে যায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেল, এখন প্রকল্প এলাকায় গাছের চিহ্ন প্রায় নেই। এখন ওই এলাকা গরু, ছাগলের বিচরণ ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। স্থানীয় এক যুবকের ক্ষোভ, ‘‘কেন এত টাকা খরচ করে এখানে গাছ লাগানো হল বুঝতে পারলাম না।’’ যদিও ত্রিলোকচন্দ্রপুর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মহম্মদ মুরশিদ আলির আক্ষেপ, বলেন, ‘‘রক্ষণাবেক্ষণের অভাবেই প্রকল্পটি সফল হয়নি। প্রকল্পটি সফল হলে বাসিন্দারা উপকৃত হতেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন