হাটতলায় পুড়ে ছাই ১০ দোকান

ভস্মীভূত হয়ে গেল দশটি দোকানের যাবতীয় জিনিসপত্র। মঙ্গলবার জামুড়িয়া হাটতলার ঘটনা। দমকলের প্রাথমিক অনুমান, শর্টশার্কিটের জেরেই এই অগ্নিকাণ্ড।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০১৯ ০১:১০
Share:

দাউদাউ: তখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি আগুন। মঙ্গলবার সকালে জামুড়িয়া হাটতলায়। নিজস্ব চিত্র

ভস্মীভূত হয়ে গেল দশটি দোকানের যাবতীয় জিনিসপত্র। মঙ্গলবার জামুড়িয়া হাটতলার ঘটনা। দমকলের প্রাথমিক অনুমান, শর্টশার্কিটের জেরেই এই অগ্নিকাণ্ড।

Advertisement

এলাকাবাসী জানান, মঙ্গলবার জামুড়িয়া বাজার বন্ধ থাকে। হাটতলায় রয়েছে ৫০টিরও বেশি স্থায়ী দোকান। এ দিন সকাল ৭টা নাগাদ আচমকা মহম্মদ ওয়াসিমের জুতোর দোকান থেকে আগুন বার হতে শুরু করে। এলাকাবাসী জানান, আগুন দ্রুত লাগোয়া ১০টি দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। বাকি দোকানগুলির কোনওটা স্টেশনারির দোকান, কোনওটা পোশাকের। এ ছাড়াও বিভিন্ন জিনিসের দোকানেও আগুন ধরে। ওয়াসিম বলেন, ‘‘পড়শিদের কাছ থেকে খবর পেয়ে এলাকায় এসে দেখি, দোকানের ভিতরে দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই পাশের দোকানগুলিতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।’’ প্রথমে এলাকাবাসী আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। ঘণ্টা দেড়েক বাদে রানিগঞ্জের দমকলকেন্দ্র থেকে একটি ইঞ্জিন এসে সাড়ে ৯টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। কিন্তু ব্যবসায়ীদের দাবি, ততক্ষণে দোকানের সব জিনিসপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

হাটতলায় অতীতেও অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। সাত বছর আগে হাটতলায় একটি পোশাকের দোকান এবং এক জন দর্জির দোকানে আগুন লাগে। তারও এক বছর আগে হাটতলা লাগোয়া একটি দোকানের গুদামে আগুন ধরে। ব্যবসায়ীদের দাবি, প্রতিটি ক্ষেত্রেই দমকলের ইঞ্জিন আসার আগে সব পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

Advertisement

আগুনের সঙ্গে যুঝছেন দমকলকর্মীরা। নিজস্ব চিত্র

এ দিন অগ্নিকাণ্ডের পরে দেখা যায়, ব্যবসায়ীরা জিনিসপত্র কিছু কিছু অবশিষ্ট রয়েছে কি না, তা খুঁজছেন। স্টেশনারি দোকানের মালিক মহম্মদ আসলাম, পোশাকের দোকানের মালিক মহম্মদ আনোয়ারেরা বলে, ‘‘আগুন ধরেছে শুনেই ছুটে আসি। কিছুই বাঁচাতে পারলাম না। এ বার কী করে ঘুরে দাঁড়াব জানি না। সব শেষ হয়ে গেল।’’

স্থানীয় সূত্রে যায় দোকানগুলিতে কোনও অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল না। কেন ব্যবস্থা রাখা হয়নি, সে বিষয়ে অবশ্য কোনও ব্যবসায়ীই সদুত্তর দিতে পারেননি। মহকুমাশাসক (সদর) প্রলয় রায়চৌধুরী বলেন, ‘‘বাজারের প্রত্যেকেই যাতে দোকানে অগ্নি নির্বাপণ যন্ত্র রাখেন, তার জন্য বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হবে। তার পরেও ব্যবস্থা না নেওয়া হলে সংশ্লিষ্ট দোকানদারদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement