আগুনে পুড়ল ২২টি বাড়ি

ভয়াবহ আগুনে পুড়ে গেল পূর্বস্থলী ১ ব্লকের হেমায়েতপুর মোড়ের কাছে ঝালাপাড়া এলাকায় ২২টি বাড়ি। সোমবার দুপুরের এই ঘটনায় কেউ হতাহত না হলেও প্রায় সর্বস্ব খুইয়েছেন বেশ কয়েকটি আদিবাসী পরিবার। দমকলের নবদ্বীপ এবং কালনা শাখার দু’টি ইঞ্জিন প্রায় দু’ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পূর্বস্থলী শেষ আপডেট: ২৪ মার্চ ২০১৫ ০০:১৬
Share:

আগুন নেভাচ্ছেন দমকল কর্মীরা।—নিজস্ব চিত্র।

ভয়াবহ আগুনে পুড়ে গেল পূর্বস্থলী ১ ব্লকের হেমায়েতপুর মোড়ের কাছে ঝালাপাড়া এলাকায় ২২টি বাড়ি। সোমবার দুপুরের এই ঘটনায় কেউ হতাহত না হলেও প্রায় সর্বস্ব খুইয়েছেন বেশ কয়েকটি আদিবাসী পরিবার। দমকলের নবদ্বীপ এবং কালনা শাখার দু’টি ইঞ্জিন প্রায় দু’ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলিতে আপাতত স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনো খাবার দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

দমকল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন বেলা ১টা নাগাদ যখন আগুন লাগে সেই সময় গ্রামের বেশির ভাগ পুরুষ চাষের মাঠে ও মহিলারা রান্নার কাজে ব্যস্ত ছিলেন। প্রথমে গিরীশ সর্দার নামে এক যুবকের বাড়ি থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। জোরে হাওয়া চলায় জন্য সেই আগুন দ্রুত পাশের কয়েকটি বাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে। মাত্র আধ ঘণ্টার মধ্যে বড় এলাকা জুড়ে দাউদাউ করে আগুন জ্বলতে থাকে। সবাই নিরাপদে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে এলেও পুড়ে যায় ভোটার ও রেশন কার্ড, টিভি-সহ যাবতীয় আসবাবপত্র এবং নগদ অর্থ। স্থানীয় বাসিন্দা চৈতন্য ওঁড়াও, কমল ওঁড়াও, বিমল ওঁড়াওদের আক্ষেপ, “মাস খানেক ধরে জমিতে আলু তোলার কাজ চলছিল। অনেকে ঘরের মধ্যে আলু জমিয়ে রেখেছিলেন। খেতমজুরির কাজ করে ঘরে কিছু নগদ টাকাও জমেছিল। কিন্তু আগুনে সব শেষ হয়ে গেল!”

আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান পূর্বস্থলী ১ পঞ্চায়েত সমিতি এবং স্থানীয় শ্রীরামপুর পঞ্চায়তের কয়েকজন সদস্য ও আধিকারিক। দমকলের এক কর্তা বলেন, “প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, রান্নাঘর থেকেই আগুন ছড়িয়েছে।” ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলিকে যাবতীয় সাহায্য করার জন্য স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতি এবং এলাকার পঞ্চায়েতগুলিকে নির্দেশ দিয়েছেন এলাকার বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রানীসম্পদ দফতরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। পূর্বস্থলী ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দিলীপ মল্লিক বলেন, “ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলিকে পোশাক ও খাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তাঁদের দ্রুত পুর্নবাসনের জন্য চেষ্টা করা হবে।”

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন