Anubrata Mandal

কেষ্টর অনুগামীদের কথাতেও ‘হতাশা’

আদালত কক্ষেই অনুব্রত অনুগামীদের কাছে জানতে চান, হনুমান পুজোর উপকরণগুলি কোথায়। সে সময় বরাকর ফাঁড়ি রোডের বাসিন্দা মুকেশ শর্মা তিনটি পলিব্যাগ এগিয়ে দেন অনুব্রতকে।

Advertisement

সুশান্ত বণিক

আসানসোল শেষ আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০২২ ০৮:৫৭
Share:

অনুব্রত মণ্ডল। ফাইল চিত্র

তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে আসানসোলের বিশেষ সংশোধনাগারে রয়েছেন গরু পাচার মামলায় অভিযুক্ত বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (কেষ্ট)। তা নিয়ে শুক্রবার আসানসোলের আদালত চত্বরে অনুগামীদের কাছে ‘হতাশা’-ও ব্যক্ত করেছেন বলে দাবি। এ দিন অনুব্রতের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন যাঁরা, তাঁদের কথাতেও কিছুটা হতাশা দেখা গিয়েছে।

Advertisement

এ দিন, আদালত কক্ষেই অনুব্রত অনুগামীদের কাছে জানতে চান, হনুমান পুজোর উপকরণগুলি কোথায়। সে সময় বরাকর ফাঁড়ি রোডের বাসিন্দা মুকেশ শর্মা তিনটি পলিব্যাগ এগিয়ে দেন অনুব্রতকে। তার দু’টিতে লাড্ডু, একটি গাঁদা ফুলের মালা ছিল বলে জানা গিয়েছে। তবে দাম বলতে চাননি মুকেশ। অনুব্রত তাঁকে জানান, দাম নিতেই হবে। এ যে পুজোর উপকরণ। শেষে মুকেশ জানান, তিনশো টাকা। সে টাকা বাপি নামে এক অনুগামীকে মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন অনুব্রত। তার পরে, পুলিশের কাছে অনুরোধ করেন, পুজোর উপকরণগুলি যেন গাড়িতে তুলে রাখা হয় ও সংশোধনাগারের গেটে সেগুলি তাঁকে যেন দেওয়া হয়। তৃণমূল কর্মী মুকেশ আদালত চত্বর থেকে বেরিয়ে বলেন, “গত লোকসভা ভোটের সময়ে উনি বরাকরে এসেছিলেন। তখন থেকেই আলাপ। নির্দিষ্ট নির্দেশ পেয়ে পুজোর উপকরণ দিয়ে গেলাম।”

এসেছিলেন তপন দাস নামে বীরভূমের এক জন। তিনি অনুব্রতকে নিয়ে বেশ চিন্তিত। বলেন, “আমরা ছেলেবেলার বন্ধু। ছোট থেকে বড় হয়েছি এক সঙ্গে। ও যাতে ভাল থাকে, এটাই চাই। তাই শুনানির দিনগুলিতে বার বার আদালতে আসি।”

Advertisement

অনুব্রতকে আদালতে তোলার দিনগুলিতে দেখা যাচ্ছে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায়কে। এ দিনও তিনি এসেছিলেন। অনুব্রতের সঙ্গে কী কথা হল, জানতে চাওয়া হলে, তিনি বলেন, “উনি ভাল করে সংগঠনটা চালাতে বলেছেন। মিঠুন চক্রবর্তীর পাল্টা সভা করতে বলেছেন।” তবে তিনি এ-ও জানান, ওঁর অনুপস্থিতিতে সাংগঠনিক কিছু সমস্যা দেখা দিচ্ছে। পাশাপাশি, আইনি-প্রক্রিয়া নিয়েও কিছুটা হতাশা প্রকাশ করেন মলয়। বলেন, “আমরা কলকাতা হাই কোর্টে জামিনের জন্য আবেদন করার পরিকল্পনা করেছি। কিন্তু কী হবে শেষ পর্যন্ত, তা তো বুঝতে পারছি না।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন