এক কিশোরীর সঙ্গে গণধর্ষণের অভিযোগে চার জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। কুলটিতে কল্যাণেশ্বরী লাগোয়া একটি লজে তার উপরে অত্যাচার হয়েছে বলে বরাকর ফাঁড়িতে অভিযোগ করে মেয়েটি।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কুলটির রামনগর গ্রামের বাসিন্দা ওই মেয়েটি বরাকরের একটি বিউটি পার্লারে কাজ করে। পুলিশের কাছে সে অভিযোগ করে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কাজ সেরে বাড়ি ফেরার সময়ে তাদের গ্রামেরই বাসিন্দা অভিজিৎ ঘোষ মোটরবাইকে চাপিয়ে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। মেয়েটি বলে, ‘‘আমি তাকে কাকু বলে ডাকি। কোনও সন্দেহ না করে তার মোটরবাইকে চেপে বসি। কিন্তু বাড়ির পথ না ধরে সে আমাকে নিয়ে দ্রুত গতিতে কল্যাণেশ্বরীর কাছে একটি লজে নিয়ে গিয়ে তোলে। সেখানেই আমাকে ধর্ষণ করা হয়।’’ ওই কিশোরী পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন, সেখানে আগে থেকে আরও দু’জন হাজির ছিল। তারা তাকে ধর্ষণ করে।
শুক্রবার বিকেলে ওই কিশোরী বরাকর ফাঁড়িতে অভিযোগ করেছেন। পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত অভিজিৎ ঘোষ, বলরাজ ঠাকুর ও দিলীপ গড়াইকে গ্রেফতার করা হয়েছে। লজের ম্যানেজার তাপস মণ্ডলকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। রামনগরে মেয়েটির পরিবারের লোকজন গোটা ঘটনা নিয়ে কিছু বলতে চাননি। তাঁরা শুধু ঘটনায় জড়িতদের কড়া শাস্তি দাবি করেছেন। আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের এসিপি (পশ্চিম) অসিত পাণ্ডে বলেন, ‘‘পুলিশ সবিস্তারে তদন্ত শুরু করেছে।’’
অভিযুক্তেরা দাবি করেছে, তারা কোনও ভাবে এই ঘটনায় জড়িত নন। তাঁদের বিরুদ্ধে চক্রান্ত হয়েছে। শুক্রবার অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরেই পুলিশ ওই লজে অভিযান চালায়। সেটির ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলার পরে তাকেও ধরে পুলিশ। পুলিশ জানায়, ওই এলাকার নানা লজে আপত্তিকর কাজকর্ম হয় বলে এলাকার নানা সূত্র থেকে তথ্য মিলেছে। ধারাবাহিক ভাবে ওই এলাকার লজগুলিতে অভিযান চালানো হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।