থেকেও বেহাল অ্যাম্বুল্যান্স

সরকারি অ্যাম্বুল্যান্স ছিল। কিন্তু যন্ত্রাংশ ভেঙে, ধুলো জমে বেহাল পড়ে রয়েছে সেটি। ফলে আউশগ্রামের জঙ্গলমহল থেকে বর্ধমান মেডিক্যাল বা অন্য হাসপাতালে রোগীকে নিয়ে যাওয়ার ভরসা সেই ভাড়ার গাড়ি। ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, সংসাদ তহবিল থেকে ওই অ্যাম্বুল্যান্স দেওয়া হয়েছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ মার্চ ২০১৭ ০০:২৬
Share:

অচল। আউশগ্রামে। নিজস্ব চিত্র

সরকারি অ্যাম্বুল্যান্স ছিল। কিন্তু যন্ত্রাংশ ভেঙে, ধুলো জমে বেহাল পড়ে রয়েছে সেটি। ফলে আউশগ্রামের জঙ্গলমহল থেকে বর্ধমান মেডিক্যাল বা অন্য হাসপাতালে রোগীকে নিয়ে যাওয়ার ভরসা সেই ভাড়ার গাড়ি। ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, সংসাদ তহবিল থেকে ওই অ্যাম্বুল্যান্স দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু খারাপ হয়ে যাওয়ার পরে সারানোর কোনও বন্দোবস্তো করা হয়নি। জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রণব রায় বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সাংসদ থাকাকালীন সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় তাঁর তহবিল থেকে জঙ্গলমহল এলাকার মানুষের সুবিধার জন্য বননবগ্রামে অবস্থিত আউশগ্রাম ১ ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রকে একটা অ্যাম্বুলেন্স দেন। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সমস্যা থাকায় রোগী কল্যাণ সমিতি সেটি আউশগ্রাম পঞ্চায়েতকে দেখভাল ও চালানোর জন্য দেয়। কিন্তু বছর পাঁচেক পরে পঞ্চায়েত অ্যাম্বুলেন্স চালানো বন্ধ করে দেয়। বঞ্চিত হন এলাকার মানুষ। স্থানীয় ওয়ারিশপুর গ্রামের মাতাবুদ্দিন শেখের অভিযোগ, এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উপর আউশগ্রাম ১ ও ২ ব্লকের উক্তা, বেরেন্ডা, রামনগর, অমরপুর পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দারা নির্ভরশীল। বেশিরভাগ মানুষই গরিব। সরকারি অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় খুবই মুশকিলে পড়েছেন তাঁরা। বাসিন্দাদের দাবি, কোনও রোগীকে জরুরি ভিত্তিতে বর্ধমানে রেফার করা হলে বেসরকারি গাড়ির উপর নির্ভর করতে হয়। ভাড়াও লাগে বেশি। তার উপর ওই সমস্ত গাড়িতে কোনও লাইফ সাপোর্ট সিস্টেম না থাকায় সমস্যায় পড়তে হয় রোগীর আত্মীয়দের।

আউশগ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি মৃণালকান্তি রায়ের অবশ্য দাবি, গাড়িটির তদারকি খরচ বেড়ে গিয়েছিল। তাছাড়া যন্ত্রাংশ পেতেও অসুবিধা হচ্ছিল। তাই পরিষেবা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে পঞ্চায়েত। তবে এলাকার মানুষজনের জন্য খুব তাড়াতাড়ি একটা অ্যাম্বুলেন্স দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন আউশগ্রামের বিধায়ক অভেদানন্দ থান্দার।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement