পুজোর আগেই অনুদান পেতে চলেছেন স্টিল অথারিটি অফ ইন্ডিয়ার (সেল) অধীনে থাকা দুর্গাপুরের ডিএসপি-সহ বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকেরা। সোমবার দিল্লিতে কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠনগুলির সঙ্গে বৈঠকের পরেই এই সিদ্ধান্তের কথা জানান কর্তৃপক্ষ। এই ঘোষণার পরে দুর্গাপুরের পুজোর বাজারও বেশ খানিকটা চাঙ্গা হয়ে উঠবে বলে আশা করছেন ব্যবসায়ীরা।
ডিএসপি সূত্রে জানা গিয়েছে, এর ফলে কারখানার প্রায় হাজার দশেক শ্রমিক উপকৃত হবেন। ডিএসপি-সহ কয়েকটি কারখানার কর্মীরা ১০ হাজার ও অন্যান্যরা ৮ হাজার টাকা করে অনুদান পাবেন।
ডিএসপি-র কর্মীরা জানান, সাধারণ ভাবে দুর্গাপুজোর আগেই এককালীন অনুদান মেলে। ২০১৪-তে ডিএসপি-র কর্মীরা প্রায় ১৭ হাজার টাকা করে পেয়েছিলেন। গত বছর শ্রমিক সংগঠনগুলির তরফে অনুদানের পরিমাণ ২০ হাজার টাকা করার দাবি জানানো হলেও সেই সময়ে সেল কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেন, প্রথম চার মাসে সংস্থার লোকসানের পরিমাণ ৩০০ কোটিরও বেশি। তাই পুজোর আগে অনুদান দেওয়া হবে না। এই ঘোষণার প্রভাব পড়ে দুর্গাপুরের পুজোর বাজারেও। শেষমেশ বহু কাঠখড় পোড়ানোর পরে কালীপুজোর আগে ডিএসপি-সহ কয়েকটি কারখানার কর্মীরা ৯ হাজার টাকা এবং বাকি সংস্থার কর্মীদের ৭ হাজার টাকা আগাম অনুদান দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করা হয়।
এ বার পুজোতেও অনুদান মিলবে কি না, তা নিয়ে আলোচনা হয় সোমবার। সেখানেই ঠিক হয়, ‘সেল পারফরমেন্স ইনসেনটিভ স্কিম’-এর আওতায় কর্মীদের অনুদান দেওয়া হবে।পুজোর আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। ডিএসপি টাউনশিপের বাসিন্দারা সাধারণ ভাবে বেনাচিতি বাজারেই কেনাকাটা করেন। বেনাচিতির ব্যবসায়ীরা জানান, এখনও আশানুরূপ ভিড় হচ্ছে না। তবে এ বার বাজার জমবে বলেই মনে করছেন ব্যবসায়ীদের একাংশ। ‘দুর্গাপুর চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ’-এর সম্পাদক হরপ্রসাদ ঘোষালের আশা, ‘‘ডিএসপি-র কর্মীরা টাকা পেলে কেনাকাটায় গতি আসবে।’’
বোনাসের দাবি। জামুড়িয়ায় বোনাসের দাবিতে বাস বন্ধ করে মঙ্গলবার বিক্ষোভ দেখালেন মিনিবাস কর্মীরা। এ দিন সকাল ৯টা নাগাদ বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। পরে কর্তৃপক্ষের তরফে দাবি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেওয়া হলে বিক্ষোভ থামে।