কারখানায় কাজ নিয়ে গোষ্ঠী-সংঘর্ষ

যাদুডাঙা এলাকায় একটি স্পঞ্জ আয়রন কারখানা তৈরি হচ্ছে। নির্মাণকাজ প্রায় শেষের মুখে। এলাকাবাসীর দাবি, তিন ধাপে স্থানীয় ৩০ জনকে নিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কারখানা কর্তৃপক্ষ। এ দিন প্রথম দফায় কাজের জন্য দশ জন নাম জমা দিতে যান। তাঁদের দাবি, কারখানার তরফে জানানো হয়, শাসক দলের লোকজনের কথামতো আট জনকে নেওয়া হয়ে গিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জামুড়িয়া শেষ আপডেট: ২২ অগস্ট ২০১৭ ০২:৫৭
Share:

অশান্তি: জামুড়িয়ার যাদুডাঙায় কারখানা চত্বরে জমায়েত। নিজস্ব চিত্র

নির্মীয়মাণ কারখানায় নিয়োগের দাবিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ বাধল জামুড়িয়ার যাদুডাঙায়। তৃণমূলের দু’টি গোষ্ঠী এ দিন গোলমালে জড়িয়ে পড়ে। গোটা ঘটনায় চার জন জখম হন। পুলিশ জানিয়েছে, পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

Advertisement

যাদুডাঙা এলাকায় একটি স্পঞ্জ আয়রন কারখানা তৈরি হচ্ছে। নির্মাণকাজ প্রায় শেষের মুখে। এলাকাবাসীর দাবি, তিন ধাপে স্থানীয় ৩০ জনকে নিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কারখানা কর্তৃপক্ষ। এ দিন প্রথম দফায় কাজের জন্য দশ জন নাম জমা দিতে যান। তাঁদের দাবি, কারখানার তরফে জানানো হয়, শাসক দলের লোকজনের কথামতো আট জনকে নেওয়া হয়ে গিয়েছে। আর দু’জনকে নেওয়া হবে। তা জানার পরেই এলাকার বাসিন্দারা কারখানার গেট আটকে বিক্ষোভ শুরু করেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘণ্টাখানেক পরে তৃণমূলের জনা তিনেক কর্মী ঘটনাস্থলে গেলে বিক্ষোভকারীদের একাংশ তাঁদের মারধর করে। কারখানার ঠিকাদার সংস্থার এক জনকেও মারধর করা হয়। তাঁদের আকলপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, তৃণমূলের ওয়ার্ড সম্পাদক লক্ষীকান্ত মুখোপাধ্যায় নিজের লোকজনকে নিয়োগ করেছেন। এ দিন বিক্ষোভ চলাকালীন তৃণমূলের যাঁরা এসেছিলেন তাঁরা লক্ষ্মীকান্তবাবুর অনুগামী।

Advertisement

লক্ষীকান্তবাবুর বক্তব্য, “দলের ব্লক সভাপতি সাধন রায়কে কারখানা কর্তৃপক্ষ ১২ জন কর্মী জোগাড় করে দিতে বলেছিলেন। সাধনবাবু আমাকে ওয়ার্ডের সব এলাকা থেকে বেছে গরিব পরিবারের বেকারদের নাম জোগাড় করতে বলেন। যাদুডাঙার দু’জন ও আশপাশের ছ’টি এলাকা থেকে দশ জনের নাম জমা দেওয়া হয়।’’ তিনি অভিযোগ করেন, যাদুডাঙা থেকেই সবাইকে নিতে হবে দাবি করে এ দিন চার বিজেপি কর্মীর নেতৃত্বে গ্রামের কয়েকজন তাঁদের কর্মীদের মারধর করেছে।

তৃণমূলের একটি অংশের অবশ্য দাবি, মারধরে অভিযুক্তেরা দল থেকে বহিষ্কৃত স্থানীয় নেতা অলোক দাসের অনুগামী। ব্লক সভাপতি সাধনবাবু যদিও বলেন, ‘‘যারা মারধর করেছে তাদের সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। শুনেছি, চাকরি দেওয়ার নাম করে তারা গ্রামের লোকজনের কাছে টাকা নিয়েছে। এখন চাকরি হবে না গ্রামবাসীদের ভুল বুঝিয়ে হামলা চালাল।’’ অলোকবাবুর বক্তব্য, ‘‘আমি দল থেকে বহিষ্কৃত। আমার কোনও গোষ্ঠী নেই। কী ঘটেছে, দল তদন্ত করুক।’’

তৃণমূলের আসানসোল জেলা সভাপতি ভি শিবদাসন বলেন, ‘‘দল তদন্ত করছে। কারও বিরুদ্ধে দোষ প্রমাণ হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ পুলিশ জানায়, মারধরের অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন