ফিরে এল ‘নিখোঁজ’ ছাত্র, কারণ নিয়ে ধন্দ

ওই কিশোরের মায়ের দাবি, বুধবার স্কুলছুটির সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও ছেলে বাড়ি না ফেরায় স্কুলে খোঁজ নিতে যান তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গুসকরা শেষ আপডেট: ১৭ অগস্ট ২০১৯ ০৪:১৭
Share:

প্রতীকী ছবি:

বিকেলে নিখোঁজ ডায়েরি করেছিলেন মা। রাতেই ফিরে আসে বছর চোদ্দর ওই কিশোর। আউশগ্রামের গঙ্গারামপুরের ওই কিশোরের দাবি, স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার সময় পুরসভার রাস্তায় মালবাহী গাড়ি থেকে নেমে হাসপাতালের ঠিকানা জানতে চান এক জন। কথা বলতে গেলে তার নাকে রুমাল চেপে নিয়ে গিয়ে বর্ধমানে একটি ঘরে আটকে রাখা হয়। পরে সুযোগ বুঝে পালিয়ে আসে সে। যদিও তদন্তে নেমে পুলিশের দাবি, অপহরণের কোনও সূত্র নেই। কোনও চাপে বা ভয়ে নিজেই পালিয়ে গিয়েছিল অষ্টম শ্রেণির ওই ছাত্র।

Advertisement

ওই কিশোরের মায়ের দাবি, বুধবার স্কুলছুটির সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও ছেলে বাড়ি না ফেরায় স্কুলে খোঁজ নিতে যান তিনি। ছেলেকে সেখানে না পেয়ে গুসকরা পিপি ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষককে বিষয়টি জানান তিনি। বন্ধুদের বাড়িতেও খোঁজখবর করেন। প্রধান শিক্ষক বিষয়টি পরিচালন সমিতিকে জানান। আশপাশে খুঁজেও সন্ধান না পাওয়ায় গুসকরা ফাঁড়িতে নিখোঁজ ডায়েরি করেন ওই কিশোরীর মা। তাঁর দাবি, ‘‘কয়েক ঘন্টা পরে রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ আপ ডিএমইউ ট্রেনে ছেলে নিজে থেকেই বাড়ি ফিরে আসে।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবারই দ্বিতীয় ইউনিট টেস্টের খাতা দিয়ে অভিভাবকদের সই করে আনার জন্য বলা হয় পড়ুয়াদের। ওই ছাত্র বেশ কিছু বিষয়ে কম নম্বর পায়। ওই দিন পঞ্চম পিরিয়ডের পরে স্কুলে একটি অনুষ্ঠান থাকায় স্কুল আগে ছুটিও হয়ে যায়। প্রেমাংশুবাবু জানান, ওই ছেলেটি যা বলছে তা ঠিক, ভুল যাই হোক চিন্তার। শুক্রবার ওই পড়ুয়া এবং তাঁর অভিভাবককে কাউন্সেলিং করা হয়েছে।’’ তাঁর দাবি, অনেক ক্ষেত্রে অভিভাবকদের উচ্চাশার চাপ নিতে পারে না পড়ুয়ারা। তাই মিথ্যা বলা বা পালিয়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। সচেতন হওয়া জরুরি। পুলিশেরও দাবি, ছেলেটির ‘নিখোঁজে’র পিছনের কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Advertisement

বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে শিশু বিশেষজ্ঞ অশোককুমার দত্তের মতে, ওই কিশোরের এখন বয়ঃসন্ধিকালীন সময়। এই সময় একটা বিদ্রোহী মনোভাব তৈরি হয়। তা ছাড়া টিভি বা মোবাইলে এ ধরনের অপহরণের গল্প প্রায়ই শোনা যায়। জানালা ভেঙে নিজে বেরিয়ে আসার কথা বলে বীরত্ব প্রকাশ করতে চেয়েছে ওই কিশোর। তাঁর পরামর্শ, ‘‘সকলের মেধা সমান নয়। বাড়ি থেকে পড়াশোনার ব্যাপারে চাপ দেওয়া ঠিক নয়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন