খালের পাশে বধূর দেহ গলসিতে

সেচখালের বাঁধে ঝোপে পড়েছিল বধূর দেহ। মাথার পিছনে ভারী কিছু দিয়ে আঘাতের চিহ্ন। জামাকাপড় অবিন্যস্ত। ঝোপের আশপাশে পড়ে মদের বোতল। গলসির সাঁকো গ্রামে রবিবার ভোরে বছর ছাব্বিশের ওই বধূর মৃত্যুকে ঘিরে ধন্দ তৈরি হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গলসি শেষ আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০২:২৭
Share:

সাঁকো গ্রামে এই রাস্তা ধরেই যাচ্ছিলেন ওই বধূ। নিজস্ব চিত্র

সেচখালের বাঁধে ঝোপে পড়েছিল বধূর দেহ। মাথার পিছনে ভারী কিছু দিয়ে আঘাতের চিহ্ন। জামাকাপড় অবিন্যস্ত। ঝোপের আশপাশে পড়ে মদের বোতল। গলসির সাঁকো গ্রামে রবিবার ভোরে বছর ছাব্বিশের ওই বধূর মৃত্যুকে ঘিরে ধন্দ তৈরি হয়েছে।

Advertisement

পরিবার ও প্রতিবেশীদের দাবি, ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে ওই বধূকে। পুলিশ অবশ্য জানায়, ময়না-তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার আগে নিশ্চিত ভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রিয়ব্রত রায় বলেন, ‘‘অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। ময়না-তদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে।’’

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গলসির সাঁকো গ্রামে বাপেরবাড়ি ওই বধূর। কয়েক মাস আগে তাঁর বিয়ে হয় কিলোমিটার সাতেক দূরে গলসিরই রাঘবপুরের এক ব্যক্তির সঙ্গে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সকাল ১১টা নাগাদ বাপের বাড়ি আসার জন্যে সাইকেল নিয়ে শ্বশুরবাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন ওই বধূ। উড়া থেকে ডিভিসি-র বাঁধ ধরে সাঁকো পৌঁছনোর শর্টকাট রাস্তা ধরেন তিনি। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এই বাঁধে দুপুরে খুব কম লোকজন যাতাযাত করেন। মৃতার এক পরিজন বলেন, ‘‘দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়ে যাওয়ার পরেও মেয়ে বাড়ি না পৌঁছনোয় আমরা খোঁজাখুঁজি শুরু করি। ফোনে সব আত্মীয়ের বাড়িতে খোঁজ করা হয়। কেউ কোনও হদিস দিতে না পারায় রাতে বাঁধেও খোঁজা হয়। কিন্তু কোনও খোঁজ মেলেনি।’’

Advertisement

মৃতার বাবা-মা জানান, মেয়ে বাড়ি না ফেরায় রাতে তাঁরা ঘুমোতে পারেননি। ভোর হতেই আবার মেয়ের খোঁজে বেরিয়ে পড়েন। বধূর বাবা বলেন, ‘‘বাঁধে গিয়ে প্রথমে ঝোপের মধ্যে ব্যাগ দেখতে পাই। আর একটু এগিয়ে যেতেই দেখি, মেয়ে পড়ে রয়েছে। কিন্তু মারা গিয়েছে, তা ভাবতে পারিনি!’’

প্রতিবেশীরা জানান, মেয়েকে পড়ে থাকতে দেখে কাঁদতে-কাঁদতে ছুটে এসে বাড়িতে খবর দেন প্রৌঢ়। এলাকার মানুষজন জড়ো হয়ে যান। দেহের অদূরে মদের বোতল, চিপসের প্যাকেট ও কিছু জামাকাপড় পড়েছিল। একটি দূরে ছিল সাইকেলটি। পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে। এমন ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকাবাসী। ওই পাড়ার বাসিন্দা তথা সাঁকো পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান সুবোধ কারক বলেন, ‘‘ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।’’ তবে ওই জায়গায় নেশার কোনও আসর বা দুষ্কৃতীদের আনাগোনা আগে এলাকার কারও নজরে পড়েনি বলে জানান তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন