ধৃত রাজা শেখ। —নিজস্ব চিত্র।
খুনের ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া স্ত্রীর খোঁজখবর করতে আদালতে এসেছিলেন স্বামী। কিন্তু তিনিও ওই খুনে অভিযুক্ত জানতে পেরে আদালত চত্বরেই তাঁকে গ্রেফতার করতে যায় পুলিশ। তবে আদালত চত্বর থেকে কাউকে গ্রেফতার করা আইনবিরুদ্ধে দাবি করে বাধা দেন আইনজীবী এবং ল’ক্লার্করা। শেষ পর্যন্ত আদালতের বাইরে ওঁত পেতে থেকে রাজা শেখ নামে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে মন্তেশ্বর থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সোমবার কালনা আদালতের এক আইনজীবীর সেরেস্তায় বসেছিলেন বছর পঁয়ত্রিশের রাজা। বেলা ১২টা নাগাদ মন্তেশ্বরের পুলিশ জানতে পারে এক খুনে অভিযুক্ত আদালতে হাজির রয়েছে। এরপরেই এসআই মলয় দত্ত রাজাকে গ্রেফতার করতে যান। কিন্তু রুখে দাঁড়ান আইনজীবী ও ল’ক্লার্করা। আইনজীবী পার্থসারথি কর বলেন, ‘‘আদালত চত্বর থেকে গ্রেফতার করা বেআইনি। পুলিশ এ কাজ করায় রুখে দাঁড়ানো হয়েছিল।’’ হইচই বেধে যায়। পিছু হটে পুলিশ। পরে আদালত থেকে বেরোনোর মুখেই রাজাকে ধরা হয়।
এ মাসের ১০ তারিখ মন্তেশ্বর ব্লকের রাউতগ্রামে এক মহিলার দেহ মিলেছিল। প্রথমে পরিচয় অজানা থাকলেও পরে জানা যায় বছর ত্রিশের ওই মহিলার নাম অনিমা দাস। বাড়ি গাইঘাটা এলাকায়। নবদ্বীপের একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন তিনি। ওই ঘটনায় পুলিশ একটি খুনের মামলা দায়ের করে। ১২ সেপ্টেম্বর অনিমাদেবী যে বাড়িতে থাকতেন সে বাড়ির মালিক বিশ্বনাথ মহাজনকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গ্রেফতার করা হয় পড়শি মালা ওরফে লালজিনা বিবিকেও। এই মালাই রাজার স্ত্রী। পরে পুলিশ জানতে পারে অনিতাদেবীর খুনে হাত রয়েছে রাজারও। এসআই মলয়বাবু বলেন, ‘‘খুনের ঘটনায় ওর খোঁজ চলছিল ।এ দিন ওকে গ্রেফতারের চেষ্টা করা হলে আইনজীবীরা বিষয়টি নিয়ে হইচই করেন। প্রথমে ছেড়ে দেওয়া হলেও পরে তাকে ধরা হয়েছে।’’