এই পুকুর ঘিরেই বিতর্ক। —নিজস্ব চিত্র।
স্থানীয় কাউন্সিলর তথা পুরসভার মেয়র পারিষদের মদতে পুকুর বুজিয়ে অবৈধ নির্মাণের চেষ্টা হচ্ছে। বাধা দিতে গেলে হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে এলাকার বাসিন্দাদের। বৃহস্পতিবার আসানসোল পুরসভার ডেপুটি মেয়রের কাছে স্মারকলিপি দিয়ে এমনই অভিযোগ করলেন নিয়ামতপুরের বাসিন্দাদের একাংশ।
বাসিন্দারা জানান, পুরসভার ৫৯ নম্বর ওয়ার্ডের নিয়ামতপুরে বহু বছর ধরে চিরঙ্গি তালাবে দৈনন্দিন বিভিন্ন কাজকর্ম সারেন বাসিন্দারা। অভিযোগ, গত কয়েক মাস ধরে এলাকার কয়েক জন দুষ্কৃতী আবর্জনা ফেলে ওই পুকুরটি ভরাট করার চেষ্টা করছে। শুধু তাই নয়, পুকুরের পাড় লাগোয়া এলাকায় অবৈধ নির্মাণ তোলারও চেষ্টা চলছে। কেউ বাধা দিতে গেলে দুষ্কৃতীরা পাল্টা স্থানীয় কাউন্সিলর তথা পুরসভার মেয়র পারিষদ মীর হাসিমের নাম নিয়ে হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দা জাকির হুসেনের দাবি, প্রতিনিয়ত আবর্জনা ফেলায় পুকুরের জল ব্যবহার করা যাচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে এর আগে পুর-কর্তৃপক্ষ, এমনকী মুখ্যমন্ত্রীর দফতরেও চিঠি দেওয়া হয়েছে।
মাস দু’য়েক আগেই বর্ধমানে প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জেলাজুড়ে বেশ কয়েকটি জায়গায় পুকুর ভরাটের অভিযোগ করা হয়। তখনই মুখ্যমন্ত্রী স্থানীয় পঞ্চায়েত, পুর-কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ পাওয়া মাত্রই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। ওই ঘটনার পরে বার্নপুরে পুকুর বুজিয়ে নির্মাণ তোলার অভিযোগ ওঠে এলাকার কিছু জমি মাফিয়ার বিরুদ্ধে। নবান্নে গিয়ে বিষয়টি নিয়ে সরব হন বাসিন্দাদের একাংশ। তারপরে অবশ্য ওই ঘটনায় ব্যবস্থা নেওয়া হয় জমি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে।
নিয়ামতপুরে পুকুর ভরাটের কথা শুনে এ দিন ডেপুটি মেয়র তবস্সুম আরা অবশ্য বলেন, ‘‘অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগ খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।’’ আর যে কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই মীর হাসিম অবশ্য দাবি করেন, ‘‘এটা বিরোধীদের অভিযোগ। আমি ওই ঘটনার সঙ্গে কোনও ভাবেই জড়িত নই।’’ তবে ওই পুকুর ভরাটের চেষ্টা হচ্ছে বলে তিনিও স্বীকার করেছেন। তাঁর আশ্বাস, ‘‘পুর কর্তৃপক্ষকে বলে পুকুর সংস্কারের চেষ্টা করা হবে।’’