পুজোর বাজারে হাত পুড়ল জনতার

র্গাপুরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গিয়েছে, প্রায় প্রতিটি আনাজের দাম দিন-দু’য়েকের তুলনায় অনেকটাই বেড়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০১৯ ০০:১০
Share:

দুর্গাপুরে। নিজস্ব চিত্র

দুর্গাপুজো শেষ হতে না হতেই লক্ষ্মীপুজোর আয়োজন শুরু হয়ে গিয়েছে বাড়িতে বাড়িতে। পুজোর দিন এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আনাজ, ফলের দামও। শুক্রবার থেকেই অনেকটা চড়েছে বিভিন্ন ফল ও আনাজের দাম। বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, লাগাতার বৃষ্টির ফলে আনাজের জোগানে ঘাটতির ফলে দাম এমনিতেই চড়া। সেই সঙ্গে জুড়েছে লক্ষ্মীপুজোর বাজার। দুইয়ে মিলে দামও বেড়েছে বেশকিছুটা। পুজোর বাজার করতে গিয়ে নাভিশ্বাস ওঠার মতো অবস্থা মধ্যবিত্তের।

Advertisement

দুর্গাপুরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গিয়েছে, প্রায় প্রতিটি আনাজের দাম দিন-দু’য়েকের তুলনায় অনেকটাই বেড়েছে। যেমন ফুলকপি এ দিন বেনাচিতি বাজারে বিক্রি হয়েছে ২০ থেকে ৩০ টাকা পিস হিসেবে। ঝিঙে বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা কেজি দরে। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, অন্য দিন ফুলকপি থাকে ১০ থেকে ২০ টাকার মধ্যে। আবার বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি দরে। ওই এলাকার ব্যবসায়ী জগদীশ শিকদারের দাবি, লক্ষ্মীপুজোর জন্য দাম যে খুব একটা বেড়েছে তা নয়। লাগাতার বৃষ্টিতে আনাজের জোগান কমে যাওয়ায় দাম ঊর্ধ্বমুখী। এ দিন ফুলের বাজারও বেশ চড়া। চণ্ডীদাস বাজারে গাঁদা ফুলের চেন বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা দরে। আবার রজনীগন্ধা ফুলের মাঝারি মালার দাম পড়ছে একশোর উপরে। অন্য সময়ে যার দাম থাকে ৫০ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে। ফুল ব্যবসায়ীরাও বাজারে ফুলের কম জোগানের জন্যই দাম বাড়ছে বলে দাবি করেছেন। ফলের দামও বেশ ঊর্ধ্বমুখী। এ দিন আপেলের দাম ছিল কেজি প্রতি ৮০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে। কলার ডজন ৪০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে বিক্রি হয়েছে। মুসম্বি ৮০ থেকে ১০০, বেদানা ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া, আঙুর বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজি দরে। পেয়ারা বিকোচ্ছে ৮০ টাকা কেজিতে। শসার কেজি প্রতি দাম ২০ থেকে ৩০ টাকার মধ্যে। ফল ব্যবসায়ী নকুল মাহাতো অবশ্য বলেন, ‘‘এখনও পুজোর জন্য তেমন দাম বাড়েনি। তবে জোগান কমতে থাকলে দাম আরও বাড়তে পারে।’’

লক্ষ্মীপুজোর আগে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ছোটবড় প্রতিমা নিয়ে বসেন বহু বিক্রেতা। এ দিন তিন ফুটের প্রতিমার দাম রয়েছে প্রায় ১০০০ টাকা। দরদাম করলে কিছুটা দাম কমছে। আবার দেড় ফুটের প্রতিমার দাম পড়ছে প্রায় ৩০০ টাকা। চণ্ডীদাস বাজারের এক প্রতিমা বিক্রেতা হরিদেব মান্না বলেন, ‘‘বছরে একবারই প্রতিমার চাহিদা তুঙ্গে থাকে। বাইরে থেকে গাড়ি ভাড়া করে প্রতিমা নিয়ে আসতে হয়। সেই কারণে দাম বেশি। আবার পটের ছবির দাম ৫০ থেকে ৭৫ টাকার মধ্যে রয়েছে।’’ লক্ষ্মীপুজোর অন্যতম উপকরণ হল সরা। যার দাম প্রায় ৫০ টাকা। এ দিন চণ্ডীদাস বাজারে প্রতিমা কিনতে গিয়েছিলেন রবিন মণ্ডল। তিনি বলেন, ‘‘প্রতিমা এনে পুজো করার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু যা দাম তাতে মনে হচ্ছে পটের পুজো করতে হবে।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন