দ্বারকানাথের খনি সংরক্ষণের আর্জি

দামোদরের গা ঘেঁষে প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত রানিগঞ্জের নারায়ণকুড়ির কাছে মথুরাচণ্ডী ঘাট ও লাগোয়া এলাকাকে হেরিটেজ ঘোষণার উদ্যোগ হবে, আশ্বাস দিলেন রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রানিগঞ্জ শেষ আপডেট: ১৫ জানুয়ারি ২০১৭ ০১:১১
Share:

মূর্তি উদ্বোধনে পর্যটন মন্ত্রী। নিজস্ব চিত্র।

দামোদরের গা ঘেঁষে প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত রানিগঞ্জের নারায়ণকুড়ির কাছে মথুরাচণ্ডী ঘাট ও লাগোয়া এলাকাকে হেরিটেজ ঘোষণার উদ্যোগ হবে, আশ্বাস দিলেন রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব। শনিবার ওই ঘাটে মকর সংক্রান্তির মেলা শুরুর দিন দ্বারকানাথের আবক্ষ মূর্তির আবরণ উন্মোচনে এসে মন্ত্রী জানান, জায়গাটি হেরিটেজ ঘোষণার জন্য এলাকা থেকে কোনও প্রস্তাব পাঠানো হলে তিনি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবেন।

Advertisement

মন্ত্রী বলেন, “এই জায়গা প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুরের কয়লাখনির চিহ্ণ এখনও বয়ে চলেছে। জায়গাটি হেরিটেজ ঘোষণার কোনও লিখিত প্রস্তাব আমাদের কাছে জমা পড়েনি। আপনারা একটি প্রস্তাব পাঠান। আমি রাজ্য হেরি়টেজ কমিশনের কাছে পাঠাব। তারা পরিদর্শন করে রিপোর্ট দিলে তা কেন্দ্রীয় হেরিটেজ কমিশনের কাছে পাঠাব।”

রানিগঞ্জে নারায়ণকুড়ি গ্রামের সীমানায় মথুরাচণ্ডী ঘাট। তার পাশেই যৌথ মালিকানায় কার অ্যান্ড টেগোর খনি চলত। জলপথে কয়লা পাঠানো হতো। সেই খনি, জেটি ও দ্বারকানাথের বাংলোর ধংসাবশেষ রয়েছে সেখানে। এই এলাককে হেরিটেজ ঘোষণার দাবি দীর্ঘদিনের। মথুরাচণ্ডী মন্দির কমিটি প্রতি বছর মকর সংক্রান্তিতে তিন দিনের মেলা আয়োজন করে। এ দিন পর্যটন মন্ত্রীর কাছে কমিটির তরফে মন্ত্রীর হেরিটেজ ঘোষণা এবং ইকো পার্ক ও পর্যটনকেন্দ্র গড়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। মন্ত্রী পুরো বিষয়টি প্রস্তাবের প্রতিলিপি জেলাশাসক সৌমিত্র মোহনের কাছেও জমা দিতে বলেন। তিন বলেন, “এর পরে সংশ্লিষ্ট দফতরের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে হবে। সেই দিকটি জেলাশাসক দেখবেন।”

Advertisement

এখানে পর্যটন কেন্দ্র হলে তাঁদের এলাকার মানুষজনেরও সুবিধে হবে বলে জানান উল্টো পাড়ে বাঁকুড়ার মেজিয়ার অর্ধগ্রামের উপপ্রধান মলয় মুখোপাধ্যায়। এ দিনের অনুষ্ঠানে ছিলেন আসানসোলের মহকুমাশাসক প্রলয় রায়চৌধুরী, রানিগঞ্জ বণিক সংগঠনের কর্তা রাজেন্দ্রপ্রসাদ খেতান প্রমুখ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন