অণ্ডালের মোতিবাজারের তুরিপাড়ায় ভাঙচুর করা হয়েছে বাড়ি। মঙ্গলবার। ছবি: ওমপ্রকাশ সিংহ
বিয়েতে রাজি না হওয়ার কারণে এক কিশোরীকে অপহরণের অভিযোগে এক যুবক ও তাঁর আত্মীয়দের বাড়িতে ভাঙচুর চালাল জনতা। অণ্ডালের মোতিবাজারের তুরিপাড়া এলাকায় এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার বেধে যায়। পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত যুবককে আটক করা হয়েছে। তবে কোনও লিখিত অভিযোগ হয়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তুরিপাড়ার বছর ষোলোর এক কিশোরীর খোঁজ মিলছিল না শুক্রবার বিকেল থেকে। শনিবার অণ্ডালের বনবহাল ফাঁড়িতে মেয়েটির বাবা নিখোঁজ ডায়েরি করেন। বাড়ির লোকজনের অভিযোগ, সোমবার রাত ২টো নাগাদ প্রতিবেশী একটি পরিবারের দু’জন এসে জানান, মেয়ে এলাকার একটি কুয়োয় ঝাঁপ দিয়েছে। তাঁরা পাড়ার লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে গিয়ে দেখেন, কুয়োয় পড়ে রয়েছে মেয়ে। পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
কিশোরীর পরিবারের সদস্যদের দাবি, মেয়ে তাঁদের জানিয়েছে, প্রতিবেশী ওই পরিবারের এক যুবকের সঙ্গে তার প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল। ওই যুবক বারবার বিয়ের প্রস্তাব দিলেও প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়ায় মেয়ে বিয়ে করতে রাজি ছিল না। তার জেরে ওই যুবক তাকে শুক্রবার বিকেল বাড়িতে নিয়ে গিয়ে আটকে রাখে। সোমবার রাতে যুবকের বাড়ির লোকজন মেয়েটিকে কুয়োয় ফেলে দেয় বলে অভিযোগ পরিবারের।
কিশোরী উদ্ধার হওয়ার পরেই এলাকায় ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। অভিযুক্ত যুবকের বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। তাঁর কয়েকজন আত্মীয়ের বাড়িতেও হামলা হয়। রাতেই ওই পরিবারগুলির লোকজন এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান। মঙ্গলবার দিনভর এলাকায় অশান্তির আঁচ ছিল।
অভিযুক্ত যুবকের অবশ্য দাবি, ওই নাবালিকার সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। শুক্রবার মেয়েটি নিজেই তাঁর বাড়িতে এসে বিয়ে করতে চায়। যুবকের কথায়, ‘‘কিন্তু ওর বিয়ের বয়স না হওয়ায় আমি রাজি হইনি। প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়ার আগে বিয়ে করা ঠিক হবে না বলে বোঝাই। কিন্তু শেষে বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে কুয়োয় ঝাঁপ দেয়।’’
পুলিশ জানায়, ওই যুবক-সহ পাঁচ জনকে আটক করা হয়েছে। তবে মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। এলাকায় নজরদারি চলছে। পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে আছে। কিশোরী সুস্থ হওয়ার পরে তার সঙ্গে কথা বলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।