প্রতীকী চিত্র।
তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর ‘সংঘর্ষে’ তেতে উঠেছে গলসি ১ ব্লকের করকডাল গ্রাম। বুধবার বিকেলে এই ঘটনায় দুই গোষ্ঠীর ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে চার মহিলা-সহ সাত জনকে পুরসা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকার দখল নিয়ে করকডালের সফিকুল মল্লিক, সাগর মল্লিকের সঙ্গে ওই গ্রামেরই শেখ বদরোদ্দোজা, শেখ মন্টুদের ‘দ্বন্দ্ব’ দীর্ঘদিনের। সফিকুলরা পারাজ পঞ্চায়েতের সদস্য তথা তৃণমূলে জেলা যুব সহ সম্পাদক রহমত মোল্লার অনুগামী হিসেবে পরিচিত এলাকায়। অন্য দিকে, বদরোদ্দোজা দলের ব্লক সভাপতি জনার্দন চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ। স্থানীয় সূত্রের দাবি, গ্রামের দখল কোন গোষ্ঠীর হাতে থাকবে তা নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরে দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব চলছে। এ দিন তা চরমে ওঠে।
তৃণমূলেরই একটি সূত্রের খবর, এ দিন বিকেলে বচসা থেকে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুই গোষ্ঠী। মার, পাল্টা মারে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। শেখ মন্টুর অভিযোগ, ‘‘মঙ্গলবার রাতে গোলাপ ও ভীমসারা এলাকার ভুতি শেখরা আমাদের হুমকি দিয়ে যায়। পাড়ার ছেলেরা যেখানে বসে, সে জায়গাটাও ভেঙে দেয়। এ দিনও ওরা আমাদের লোকজনের উপর আচমকা হামলা চালায়। আমরা পালিয়ে
গেলে বাড়িতে ঢুকে মহিলাদের লাঠি দিটে মারধর করা হয়।’’ যদিও অভিযোগ মানতে চাননি সফিকুলেরা। তাঁদের দাবি, ‘‘ওদের লোকজন ছাদ থেকে আমাদের লক্ষ্য করে ইট ছুড়ছিল। তাদের আমাদের কয়েকজন আহত হন।’’
দুই গোষ্ঠীর মারামারি নিয়ে মুখ খুলতে চাননি যুব তৃণমূলের সহ সভাপতি রহমত মোল্লা। তিনি বলেন, ‘‘আমার এলাকায় নবখণ্ড গ্রামে একটি রক্তদান শিবির ছিল। সেখানেই সারা দিন ব্যস্ত ছিলাম। কী হয়েছে আমার জানা নেই।’’ ব্লক সভাপতি জনার্দনবাবু বলেন, ‘‘দু’পক্ষের মারামারি হয়েছে। আমি পুলিশকে বলেছি আইন মেনে ব্যস্থা নিতে।’’