গরহাজির নেতারা, কোন্দল কংগ্রেসে

কেন্দ্রের নোট বাতিলের প্রতিবাদে কংগ্রেসের মিছিলে সামিল হলেন না দলেরই বেশ কিছু পুরনো মুখ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০১৬ ০২:০৪
Share:

নোট বাতিলের প্রতিবাদে দুর্গাপুরে পথে কংগ্রেস। —নিজস্ব চিত্র।

কেন্দ্রের নোট বাতিলের প্রতিবাদে কংগ্রেসের মিছিলে সামিল হলেন না দলেরই বেশ কিছু পুরনো মুখ। বিধানসভা ভোটের পর থেকেই দুর্গাপুরে নানা বিষয়ে দলের ভিতরে মতান্তর নিয়ে কানাঘুষো চলছিল। শুক্রবার কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এল বলে মানছে দলেরই একাংশ।

Advertisement

এ দিন সিধো-কানহু স্টেডিয়াম থেকে বিকেলে মিছিল শুরু হয় কংগ্রেসের। কিন্তু তাতে ছিলেন না দলের প্রাক্তন জেলা (শিল্পাঞ্চল) সভাপতি সুদেব রায়, আইএনটিইউসি-র বর্তমান জেলা সভাপতি তথা প্রদেশ কংগ্রেসের সম্পাদক বিকাশ ঘটক, প্রবীণ আইএনটিইউসি নেতা তথা প্রদেশ কংগ্রেসের সম্পাদক উমাপদ দাস এবং প্রদেশ কংগ্রেস সদস্য তরুণ রায়। এ নিয়ে শুরু হয় গুঞ্জন। দলের কর্মী-সমর্থকদের অনেকেই দাবি করেন, সংগঠন চালাতে প্রবীণদের অভিজ্ঞতা দরকার। বিধানসভা ভোটের পর থেকে বেশ কিছু কর্মসূচিতে এই নেতাদের দেখা মিলছে না, যা দুশ্চিন্তার।

কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে, সমস্যা শুরু বিধানসভা ভোটের আগে প্রার্থী বাছাই পর্ব থেকে। তৃণমূলের এক কাউন্সিলরকে বিধায়ক পদে প্রার্থী করা থেকেই মতান্তরের শুরু। দলত্যাগ বা কাউন্সিলর পদ থেকে সরে না দাঁড়িয়েই তিনি কংগ্রেসের প্রার্থী হন। যা নিয়ে দলের একাংশে আপত্তি ছিল। কিন্তু দলের জেলা (শিল্পাঞ্চল) সভাপতি দেবেশ চক্রবর্তী সে সব উড়িয়ে নতুন প্রার্থীর সমর্থনে বামেদের সঙ্গে নিয়ে লড়াইয়ে নামেন। সিপিএমের সঙ্গে কর্মসূচিতে পা মেলাতেও দলের একাংশের মধ্যে দ্বিধা কাজ করেছে বলে কংগ্রেস সূত্রের খবর। ভোটের পরে নানা বিষয়ে শহরে বামেদের সঙ্গে যৌথ ভাবে বেশ কিছু কর্মসূচি নেয় কংগ্রেস। সেগুলিতেও দেখা যায়নি দলের ওই চার নেতাকে।

Advertisement

এ দিন উমাপদবাবু ও তরুণবাবু বলেন, ‘‘কর্মসূচি নিয়ে জেলার পক্ষ থেকে কোনও বৈঠক হয়নি।’’ সুদেববাবুর দাবি, তিনি শহরের বাইরে ছিলেন। তবে বিকাশবাবুর অভিযোগ, ‘‘কোনও কর্মসূচি সফল করার জন্য আগে বৈঠক হওয়া জরুরি। অতীতে বরাবর তাই হয়েছে। তবে বর্তমানে দলের নেতৃত্বে যাঁরা রয়েছেন তাঁরা চলেন মর্জি মতো। আশা করি উচ্চ নেতৃত্ব বিষয়টি নজরে রেখেছেন।’’ জেলা (শিল্পাঞ্চল) সভাপতি দেবেশবাবুর অনুগামীদের দাবি, ওই নেতারা তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন। তাই তাঁদের ডাকলেও আসেন না। দেবেশবাবু শুধু বলেন, ‘‘দলীয় কর্মসূচিতে সবাই স্বাগত। কে কী করছেন সেটা তাঁদের ব্যাপার।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন