মৃত খনিকর্মীর মেয়েকে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ

কর্মীর মৃত্যুর সময়ে তাঁর ছিল মেয়ে নাবালিকা। সেই মেয়ের আঠারো বছর বয়স হওয়ার পরে পরিবার চাকরিতে নিয়োগের আর্জি জানালে অস্বীকার করে ইসিএল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

অন্ডাল শেষ আপডেট: ১৬ মার্চ ২০১৭ ০০:২৩
Share:

কর্মীর মৃত্যুর সময়ে তাঁর ছিল মেয়ে নাবালিকা। সেই মেয়ের আঠারো বছর বয়স হওয়ার পরে পরিবার চাকরিতে নিয়োগের আর্জি জানালে অস্বীকার করে ইসিএল। পরিবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলে তিন মাসের মধ্যে মেয়েটিকে নিয়োগের নির্দেশ দিল আদালত।

Advertisement

ইসিএল সূত্রে জানা গিয়েছে, সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী, কোনও কর্মীর মৃত্যু হলে তাঁর চাকরির দাবিদার নিকট আত্মীয়ের বয়স যদি ১৮ বছরের কম হয় তবে তার নাম ‘লাইভ রোস্টার’-এ রাখতে হয়। যত দিন না তার চাকরি পাওয়ার বয়স হচ্ছে তত দিন সংস্থার তরফে ভাতা দেওয়া হয়। ১৮ বছর বয়স হলে নিয়োগ করা হয়।

ইসিএলের কাল্লা হাসপাতালের কর্মী দীপা বর্মণের মৃত্যু হয় ২০০৭ সালের ৬ মার্চ। তাঁর স্বামী ইন্দ্রজিৎ বর্মণ জানান, তাঁদের মেয়ের বয়স তখন তেরো বছর। তার নাম লাইভ রোস্টারে রাখেন তিনি। সংস্থার তরফে মেয়ের ডাক্তারি পরীক্ষা-সহ নানা প্রক্রিয়াও করা হয়। কিন্তু ২০১৪ সালে হঠাৎই জানানো হয়, মেয়েকে চাকরি দেওয়া যাবে না। এর বিরুদ্ধে সেই বছর জুলাইয়ে তিনি ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।

Advertisement

ইন্দ্রজিৎবাবুর আইনজীবী পার্থ ঘোষ জানান, আদালত ইসিএল কর্তৃপক্ষকে প্রশ্ন করে, চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে ছেলেদের ‘লাইভ রোস্টার’-এ রাখা গেলে মেয়েদের রাখা যাবে না কেন? ইসিএল দাবি করে, জাতীয় কয়লা বেতন চুক্তিতে (এনসিডব্লিউএ) মেয়েদের ‘লাইভ রোস্টার’-এ রাখার বিধি নেই। ২০১৫ সালে ইন্দ্রজিৎবাবু ফের এর বিরোধিতা করে হাইকোর্টে যান। সম্প্রতি আদালত জানায়, এনসিডব্লিউএ-তে মেয়েদের নিয়োগ না করার কথা বলা নেই। বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় চাকরিপ্রার্থী মেয়েকে তিন মাসের মধ্যে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন।

ইসিএলের সিএমডি-র কারিগরি সচিব নীলাদ্রি রায় বলেন, ‘‘সংস্থার আইন বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করে কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন