প্রতীকী ছবি।
শিক্ষকেরা নিয়মিত কলেজে আসছেন না, এলেও অনেকেই ক্লাস না নিয়ে পূর্ণঁ সময় কাটিয়ে চলে যাচ্ছেন। শিক্ষকদের গড়িমসিতে ক্ষতি হচ্ছে পঠন-পাঠনে— মঙ্গলবার এমনই অভিযোগে সরব হলেন কালনা কলেজের ছাত্রছাত্রীরা।
এ দিন বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ কলেজের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় বর্ষের একদল ছাত্রছাত্রী নিজেদের ক্লাস থেকে বেরিয়ে শিক্ষকদের ঘরের সামনে জড়ো হন। কয়েকজন শিক্ষকের নাম করে তাঁরা অভিযোগ করেন, ওই শিক্ষকেরা নিয়মিত সংস্কৃত, বাংলা এবং দর্শনের ক্লাস নিচ্ছেন না। ক্ষুব্ধ ছাত্রছাত্রীদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী কলেজ খোলা থাকলে এক জন শিক্ষককে সপ্তাহে পাঁচ দিন পাঁচ ঘণ্টা হাজির থাকতে হয়। অথচ দেখা যাচ্ছে অনেকে কলেজে ঢুকছেন দেরি করে, কেউ কেউ কলেজ ছুটির অনেকে আগেই চলে যাচ্ছেন। ধারাবাহিক ভাবে এমন চলায় সেমেস্টারের আগে ক্ষতি হচ্ছে বলেও ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগ। দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী দিশারি চক্রবর্তী বলেন, ‘‘সামনেই সেমেস্টার। শিক্ষকেরা ঠিকঠাক ক্লাসে না আসায় সমস্যা হচ্ছে।’’ বাপ্পা বিশ্বাস, অর্পিতা পাল, দীপঙ্কর বিশ্বাসদের দাবি, ‘‘শিক্ষকদের গড়িমসিতে টানা ক্লাস হয় না। এভাবে চলতে থাকলে অনেকেরই কলেজে আসার মানসিকতা নষ্ট হয়ে যাবে।’’
বিষয়টি নিয়ে কলেজ অধ্যক্ষ তাপসকুমার সামন্তর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘ইউজিসির নিয়ম অনুযায়ী কলেজ শিক্ষককে সপ্তাহে পাঁচ দিন পাঁচ ঘণ্টা কলেজে থাকতে হয়। নোটিস টাঙিয়ে এই নিয়মটি জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে।’’
কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, আগেও এই কলেজ অধ্যক্ষ এই ধরনের নোটিস টাঙিয়ে ছিলেন। তাতে সাময়িক কাজ হলেও কিছু দিন পরে অনিয়ম শুরু করে দেন একদল শিক্ষক। কলেজের এক ছাত্র নেতার কথায়, ‘‘ছাত্রছাত্রীরা এই অভিযোগে নিয়ে আমাদের কাছে মাঝেমধ্যেই আসে। অধ্যক্ষও এর আগে চেষ্টা করেছিলেন। তবে সফল হননি। এ বার কী হয় দেখা যাক।’’