Dilip Kumar Roy

দিলীপকুমারের স্বরলিপি, রচনা ঠাঁই পাচ্ছে আর্কাইভে

তিনি ছিলেন দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের পুত্র। ১৯৬৫ সালে সঙ্গীত নাটক অকাদেমি তাঁকে তাদের সর্বোচ্চ সম্মান ‘সঙ্গীত নাটক অকাদেমি ফেলোশিপ’-এ ভূষিত করে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ জুলাই ২০২৫ ০৯:১৯
Share:

দিলীপকুমার রায়।

সঙ্গীত জগতের কিংবদন্তী ‘সঙ্গীত-সুধাকর’ দিলীপকুমার রায়, কন্যাসমা শিষ্যা মা ইন্দিরা দেবীর পাণ্ডুলিপি, বইপত্র, বক্তৃতা, প্রকাশিত ও অপ্রকাশিত স্বরলিপি, বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত রচনা, সাক্ষাৎকার এবং তাঁদের জীবন ও কর্মের সঙ্গে সম্পর্কিত যাবতীয় ছবি, ভিডিয়ো ও অডিয়ো রেকর্ডিংয়ের ডিজিটাল কপি এ বার সংরক্ষিত হতে চলেছে আসানসোলের কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘নজরুল আর্কাইভ’-এ। পুণের হরি কৃষ্ণ মন্দির ট্রাস্ট এই অমূল্য সংগ্রহ কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়কে সম্প্রতি হস্তান্তর করেছে।

দিলীপকুমার রায় (১৮৯৭-১৯৮০) ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী। একাধারে সঙ্গীতজ্ঞ, গীতিকার, সুরকার, গায়ক, সঙ্গীত-তত্ত্ববিদ, দার্শনিক, বহুভাষাবিদ, ঔপন্যাসিক, কবি, প্রাবন্ধিক, ছন্দবিদ ও যোগী। তিনি ছিলেন দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের পুত্র। ১৯৬৫ সালে সঙ্গীত নাটক অকাদেমি তাঁকে তাদের সর্বোচ্চ সম্মান ‘সঙ্গীত নাটক অকাদেমি ফেলোশিপ’-এ ভূষিত করে। ঋষি অরবিন্দের শিষ্য এবং ভারতের সাংস্কৃতিক দূত হিসেবে পরিচিত দিলীপকুমার রায় ‘সুর-সুধাকর’ উপাধিতে ভূষিত হয়েছিলেন। তিনি ‘ইন্ডিয়ান অকাদেমি অফ ফাইন আর্টস’-এর সদস্যও নির্বাচিত হন। এমনকি কাজী নজরুল ইসলামের গানের প্রসারেও তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। পুণের হরি কৃষ্ণ মন্দির স্থাপন করেছিলেন দিলীপকুমার রায় নিজেই।

হরি কৃষ্ণ মন্দির ট্রাস্টের চেয়ারম্যান সৌমেশকান্তি দাশগুপ্ত ১৭তম দিলীপকুমার রায় স্মারক বক্তৃতা অনুষ্ঠানে এই সমস্ত সামগ্রী কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়কে হস্তান্তর করেছেন। ১৭ জুলাই, বৃহস্পতিবার কলকাতার রামকৃষ্ণ মিশন ইনস্টিটিউট অফ কালচারের শিবানন্দ হলে এই অনুষ্ঠানটি হয়েছে।

‘নজরুল সেন্টার ফর সোশ্যাল অ্যান্ড কালচারাল স্টাডিজ়’, কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট তথা ভারপ্রাপ্ত কিউরেটর গৌরব চৌধুরী জানিয়েছেন, এই হস্তান্তর প্রক্রিয়ায় রামকৃষ্ণ মিশন ইনস্টিটিউট অব কালচারের সম্পাদক স্বামী সুপর্ণানন্দ, হরিকৃষ্ণ মন্দির ট্রাস্ট এবং রামকৃষ্ণ মিশন ইনস্টিটিউট অব কালচার— উভয়ের পক্ষ থেকে একটি পোর্টেবল ড্রাইভের মাধ্যমে এই সংগ্রহ হস্তান্তর করেছে। সৌমেশকান্তি দাশগুপ্ত এই ঐতিহাসিক পদক্ষেপে উচ্ছ্বসিত। ভারপ্রাপ্ত কিউরেটরের কথায়, ‘‘দিলীপকুমার রায় ও মা ইন্দিরা দেবীর জীবন ও কর্মের উপরে বিশদ গবেষণার মধ্য দিয়ে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন

এটি একটি প্রিমিয়াম খবর…

  • প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর

  • সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ

  • সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে

সাবস্ক্রাইব করুন