Khandaghosh Police Station

মহিলাকে উদ্ধার করে বাড়ি ফেরাল পুলিশ

বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সগরাই পঞ্চায়েতের পুরিহা গ্রামে ওই মহিলাকে রাস্তায় ঘুরতে দেখে ‘ভিলেজ পুলিশ’-কে বিষয়টি জানান স্থানীয়েরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

খণ্ডঘোষ শেষ আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০২০ ০৫:২৭
Share:

—প্রতীকী ছবি।

মানসিক ভারসাম্যহীন এক মহিলা শীতের রাতে রাস্তায় দাঁড়িয়ে কাঁপছিলেন। খবর পেয়ে তাঁকে উদ্ধার ও সুস্থ করে বাড়ির লোকজনের খোঁজ পায় খণ্ডঘোষ থানার পুলিশ। শুক্রবার রাতে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনের দুর্গাপুর-পাটবাঁধার বাসিন্দা ওই মহিলাকে নিয়ে যান পরিজনেরা।

Advertisement

খণ্ডঘোষ থানা সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সগরাই পঞ্চায়েতের পুরিহা গ্রামে ওই মহিলাকে রাস্তায় ঘুরতে দেখে ‘ভিলেজ পুলিশ’-কে বিষয়টি জানান স্থানীয়েরা। ঘটনার কথা জেনে গাড়ি পাঠিয়ে ওই মহিলাকে থানায় আনার বন্দোবস্ত করে অফিসার ইনচার্জ (খণ্ডঘোষ) প্রসেনজিৎ দত্ত। মহিলাকে গরম পোশাক, খাবার দিয়ে খানিকটা সুস্থ করার পরে, তাঁর কাছ থেকে নানা তথ্য জানতে চান মহিলা পুলিশকর্মীরা। পুলিশের দাবি, দীর্ঘ কথাবার্তার পরে, শুক্রবার মহিলা জানান, দাঁতন থেকে বর্ধমানে চিকিৎসার জন্য এসেছিলেন।

মহিলার ছেলে আনন্দ পাত্র শনিবার জানান, গত ১৫ ডিসেম্বর বর্ধমানে মানসিক হাসপাতালে মা’কে নিয়ে আসছিলেন। রাতে রাস্তায় গাড়ি দাঁড় করিয়ে বাড়ির অন্যেরা হাসপাতালের ঠিকানা জানার সময়ে মহিলা গাড়ি থেকে নেমে চলে যান। খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান না মেলায় পরিবার বর্ধমান থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে। পুলিশের দাবি, মহিলাকে আলিশা বাসস্ট্যান্ডের কাছে একটি বেসরকারি মানসিক হাসপাতালে আনছিলেন পরিজনেরা। সেখান থেকেই ওই মহিলা নিখোঁজ হন। গত দশ দিন ধরে বিভিন্ন জায়গা ঘুরে পুরিহায় পৌঁছন।

Advertisement

শুক্রবার রাতে খণ্ডঘোষ থানায় আসেন মহিলার স্বামী শশাঙ্ক পাত্র, ছেলে আনন্দ। আনন্দ বলেন, “পুলিশ যাতায়াতের খরচ দেওয়া-সহ নানা ভাবে সাহায্য করেছে। পুলিশের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। মা ভাল আছেন।’’ এসডিপিও (বর্ধমান দক্ষিণ) আমিনুল ইসলাম খান বলেন, “এক জনকে উদ্ধার করে বাড়ি পৌঁছে দেওয়া গেল, এর থেকে ভাল কিছু হতে পারে না। এটা পুলিশের দায়িত্ব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন