শ্রমিক-বিক্ষোভে কাজ বন্ধ খনিতে

কাজে গাফিলতির অভিযোগে ১৭ জনকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে শনিবারও খনিতে কাজ বন্ধ রাখলেন কর্মীরা। এর ফলে পাণ্ডবেশ্বরে শোনপুর বাজারি প্রকল্পে ঠিকাদার সংস্থার হাতে দেওয়া প্যাচ সম্প্রসারণের কাজ বন্ধ রইল দু’দিন। গোটা বিষয়টি নিয়ে খনি কর্তৃপক্ষ সোমবার বৈঠক ডেকেছেন বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পাণ্ডবেশ্বর শেষ আপডেট: ১৭ মে ২০১৫ ০০:৪৬
Share:

শোনপুর বাজারি প্রকল্পে বন্ধ প্যাচ সম্প্রসারণ। —নিজস্ব চিত্র।

কাজে গাফিলতির অভিযোগে ১৭ জনকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে শনিবারও খনিতে কাজ বন্ধ রাখলেন কর্মীরা। এর ফলে পাণ্ডবেশ্বরে শোনপুর বাজারি প্রকল্পে ঠিকাদার সংস্থার হাতে দেওয়া প্যাচ সম্প্রসারণের কাজ বন্ধ রইল দু’দিন। গোটা বিষয়টি নিয়ে খনি কর্তৃপক্ষ সোমবার বৈঠক ডেকেছেন বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement

ঠিকাদার সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার খনি পরিদর্শনের সময়ে সংস্থার কর্তাদের নজরে পড়ে, ১৭ জন শ্রমিক-কর্মী কাজ করছেন না। অভিযোগ, কাজ করতে বলায় আধিকারিকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন ওই শ্রমিকেরা। সে কারণে তাঁদের বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত হয়। এই খবর জানাজানি হওয়ার পরে সে দিন বিকেলেই প্রতিবাদে প্যাচের ৩৮০ জন শ্রমিক-কর্মীর মধ্যে ১৮০ জন ইস্তফা দেন। শুক্রবার সকাল থেকে কাজ বন্ধ করে বিক্ষোভ শুরু হয়। সে দিন আরও ১৩৪ জন ইস্তফা দেন। ফলে, কাজ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।

প্রথমে শ্রমিকদের ওই আন্দোলন অরাজনৈতিক দাবি করলেও শুক্রবার বিকেল থেকে তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছে আইএনটিটিইউসি অনুমোদিত কয়লা খাদান ঠিকা শ্রমিক কংগ্রেস। নানা দাবি নিয়ে সে দিনই তারা ওই ঠিকাদার সংস্থাকে স্মারকলিপি দেয়। তাদের দাবি, কর্মীদের ন্যূনতম সরকারি বেতন, ইএসআই হাসপাতালে চিকিৎসার সুযোগ, ইপিএফ, আট ঘণ্টা কাজ ও সচিত্র পরিচয়পত্র দিতে হবে। পাণ্ডবেশ্বরের আইএনটিটিইউসি নেতা তথা জেলা পরিষদের সদস্য নরেন চক্রবর্তীর অভিযোগ, ‘‘আমাদের কিছু নির্দিষ্ট দাবি রয়েছে। বৃহস্পতিবার আমাদের কিছু কর্মী সেই দাবি জানাতে গেলে কর্তৃপক্ষ দুর্ব্যবহার করেন। তাঁদের হাজিরা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শ্রমিকেরা তারই প্রতিবাদে আন্দোলন করছে।’’ তিনি জানান, সোমবার শোনপুর বাজারি প্রকল্পের জেনারেল ম্যানেজার একটি ত্রিপাক্ষিক ডেকেছেন।

Advertisement

ওই ঠিকা সংস্থার কর্ণধার শ্রীকুমার লাখোটিয়া বলেন, ‘‘যাঁরা স্মারকলিপি দিয়ে গিয়েছেন, তাঁরা কেউ আমাদের সঙ্গে দেখা করেননি। শ্রমিকেরা কাজ না করলে প্যাচ বন্ধ থাকবে।’’ ইসিএলের সিএমডি-র কারিগরি সচিব নীলাদ্রি রায় বলেন, ‘‘ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমরা ঠিকাদার সংস্থাকে আলোচনায় বিষয়টি মিটিয়ে নিতে বলেছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন