রাজস্থান-কাণ্ডে অভিযুক্ত আইসি

রাজস্থানের এক তরুণীকে বিয়ে করে নিয়ে এসেছিলেন পূর্বস্থলীর এক যুবক। ওই তরুণীর পরিবার অপহরণের অভিযোগ করায় দম্পতিকে পূর্বস্থলী থেকে ধরে নিয়ে যায় রাজস্থান পুলিশের একটি দল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কালনা শেষ আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০১৭ ০০:৩৮
Share:

আইনজীবী অপহরণ-কাণ্ডে শুক্রবার কালনা আদালতে মামলা দায়ের হল পূর্বস্থলী থানার আইসি সোমনাথ দাস এবং বিশ্বরম্ভার বাসিন্দা মানিক দাসের বিরুদ্ধে। এ দিন এসিজেএম আদালতে মামলাটি করেন পূর্বস্থলীর ধরমপুরের বাসিন্দা ওই আইনজীবী ফিরদৌস মণ্ডল।

Advertisement

রাজস্থানের এক তরুণীকে বিয়ে করে নিয়ে এসেছিলেন পূর্বস্থলীর এক যুবক। ওই তরুণীর পরিবার অপহরণের অভিযোগ করায় দম্পতিকে পূর্বস্থলী থেকে ধরে নিয়ে যায় রাজস্থান পুলিশের একটি দল। যুবকের জামিনের আবেদন করতে সম্প্রতি রাজস্থানে যান ফিরদৌস। তাঁর অভিযোগ, সেখানে গেলে তাঁকে ও তাঁর কাকাকে অপহরণ করে সঙ্গে থাকা সমস্ত জিনিসপত্র কেড়ে নেওয়া হয়। কোনওমতে পালিয়ে আসেন তাঁরা।

ওই আইনজীবী প্রথমে জেলা পুলিশ সুপার, এসডিপিও (কালনা), রাজ্য বার কাউন্সিলে চিঠি পাঠান। তিনি অভিযোগ করেন, তাঁকে ওই মামলার কাজে রাজস্থানে পাঠান মানিক দাস। সেখানকার আইনজীবী হিসেবে মানিক যে ফোন নম্বর দিয়েছিলেন, সেটিতে ফোন করার পরে বিপাকে পড়তে হয় বলে ফিরদৌসের দাবি। তিনি আরও অভিযোগ করেন, এই ঘটনা নিয়ে পূর্বস্থলী থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে আইসি তা নিতে চাননি।

Advertisement

শুক্রবার ফিরদৌস আদলতে মামলা করেন। তাঁর দাবি, রাজস্থান থেকে ফিরে অপহরণ ও হেনস্থার কথা জানাতে গেলে আইসি কর্ণপাত করেননি। ফিরদৌসের পাশে দাঁড়িয়েছে বার অ্যাসোসিয়েশন। আইনজীবী পার্থসারথি কর বলেন, ‘‘যে ভাবে ফিরদৌসকে ভিন্‌ রাজ্যে গিয়ে বিপদে পড়তে হয়েছে, তা নিন্দনীয়।’’ তাঁর দাবি, এসিজেএম কুসুমিকা দে মিত্র জেলা পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

মানিকবাবু বলেন, ‘‘ওখানে যা ঘটেছে, তার কিছুই আমার জানা নেই।’’ আইসি কোনও মন্তব্য করতে চাননি। এসডিপিও (কালনা) প্রিয়ব্রত রায় বলেন, ‘‘এখনও আদালতের কোনও নির্দেশ পাইনি। পেলে নিরপেক্ষ তদন্ত হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন