ফের বিচারককে বয়কটের পথে হাঁটতে চলেছে বর্ধমান বার অ্যাসোসিয়েশন।
বুধবার সন্ধ্যায় জেলা আদালতের বার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সভায় চরম হট্টগোলের মধ্যে দেওয়ানি আদালতের বিচারক (সিভিল) মন্দাক্রান্তা সাহার এজলাস বয়কট সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বার অ্যাসোসিয়েশনের সহ সম্পাদক বিশ্বজিৎ দাস বলেন, “প্রবীণ আইনজীবীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছেন ওই বিচারক। আমরা এ নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছি। তারপরেও পরিবর্তন হয়নি।’’
আইনজীবীরা জানান, কয়েকদিন আগে সংগঠনের দফতরে ওই মহিলা বিচারকের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ তোলেন কয়েকজন আইনজীবী। গভর্মেন্ট প্লিডার (জিপি) মুরারিমোহন কুমারের সঙ্গেও ওই বিচারক দুর্ব্যবহার করেছেন বলে সরব হন আইনজীবীরা। এ দিন অবশ্য বার অ্যাসোসিয়েশনের সিদ্ধান্ত নিয়ে আইনজীবীদের ভিন্ন মত দেখা যায়। বেশ কিছু আইনজীবী এজলাস বয়কটের সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করেন। তাঁদের দাবি, শুনানি-পদ্ধতি পছন্দ হচ্ছে না বলে বিচারককে বয়কট করা কার্যত আইন-বিরোধী। তবে বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সদন তায়ের দাবি, “সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের মতকেই গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।”
বছর খানেক আগে হুগলির শ্রীরামপুরেও এই বিচারকের এজলাস বয়কট করেছিল আইনজীবীরা। কয়েকমাস ধরে টানা বয়কটের পর তাঁকে বর্ধমানে বদলি করা হয়। বর্ধমানেও এর আগে শুনানি পদ্ধতি নিয়ে অভিযোগ তুলে সিজেএমকে বয়কট করেছিলেন আইনজীবীরা। সপ্তাহ দু’য়েক পরে বয়কট ওঠে। এ দিন অবশ্য মন্দাক্রান্তাদেবীর সঙ্গে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি।