হাতে-হাত: দুর্গাপুরের ডিপিএল গেটের সামনে। নিজস্ব চিত্র
শহররক্ষার ডাক দিয়ে রবিবার দুর্গাপুরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করল বামেদের ১৩টি গণ সংগঠনের যৌথ মঞ্চ। ডিপিএলের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে দুর্গাপুর স্টেশন পর্যন্ত হাতে-হাত দিয়ে প্রাচীর গড়েন কর্মী-সমর্থকেরা।
তৃণমূলের জমানায় দুর্গাপুরে বেশ কিছু কারখানায় ঝাঁপ পড়ায় যেমন অনেকে কাজ হারিয়েছেন, তেমনই শাসকদলের নেতারা ডিএসপি-সহ নানা সংস্থায় ঠিকা প্রথায় পছন্দের লোক ঢোকানোয় অনেকে কাজ পাচ্ছেন না— অভিযোগ বামেদের। রাজ্য সরকারি সংস্থা ডিপিএলের কোকআভেন প্ল্যান্ট বন্ধ হয়ে গিয়েছে বছর দুয়েক আগে। সম্প্রতি আর এক সংস্থা ডিসিএলের বিলগ্নিকরণের সিদ্ধান্ত পাকা হয়েছে। এ সব নিয়েও আন্দোলনে নেমেছে সিটু-সহ নানা শ্রমিক সংগঠন।
গত বিধানসভা ভোটের বছরখানেক আগে ওই যৌথ মঞ্চের তরফে ‘দুর্গাপুর বাঁচাও’ আন্দোলন শুরু হয়। শিল্পস্থাপন ছাড়াও তৃণমূল পরিচালিত পুরসভার বিরুদ্ধে বেহাল পরিষেবার অভিযোগেও ধারাবাহিক ভাবে সমাবেশ করা হয় মঞ্চের তরফে। এ বার পুরভোটে নজর রেখে আন্দোলনের মাত্রা বাড়াচ্ছে বামেরা। নভেম্বরে শহরে একশো কিলোমিটার পদযাত্রার কর্মসূচি নিয়েছিল সিপিএম। সে মাসে পুরসভায় অভিযানও হয়।
ওই সব অভিযোগের সঙ্গে এখন যোগ হয়েছে প্রস্তাবিত নতুন জেলায় দুর্গাপুরের গরিমা অক্ষুণ্ণ রাখার দাবি। এ দিন কর্মসূচিতে যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক তথা সিপিএম নেতা পঙ্কজ রায়সরকার দাবি করেন, ‘‘বর্তমান পরিস্থিতিতে বীতশ্রদ্ধ শহরের হাজার-হাজার মানুষ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে যোগ দিয়েছেন।’’