খণ্ডঘোষে বাম কর্মীদের মারের নালিশ

আগের দিনই রায়ান পঞ্চায়েতের ভিট্যা গ্রামে প্রচার চলাকালীন সিপিএম কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ ওঠে। মঙ্গলবার ফের দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে পোস্টার সাঁটানোর সময়ে সিপিএম কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এ দিন খণ্ডঘোষের লোধনা গ্রামের ওই ঘটনায় আট সিপিএম কর্মী জখম হন। তাঁদের চার জনকে বর্ধমানের একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ০৬ এপ্রিল ২০১৬ ০৩:৩০
Share:

আগের দিনই রায়ান পঞ্চায়েতের ভিট্যা গ্রামে প্রচার চলাকালীন সিপিএম কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ ওঠে। মঙ্গলবার ফের দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে পোস্টার সাঁটানোর সময়ে সিপিএম কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে।

Advertisement

এ দিন খণ্ডঘোষের লোধনা গ্রামের ওই ঘটনায় আট সিপিএম কর্মী জখম হন। তাঁদের চার জনকে বর্ধমানের একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। বাকিদের খণ্ডঘোষ ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

সিপিএমের অভিযোগ, গত কয়েকদিন ধরে লাগাতার ওই গ্রামে হামলা চালাচ্ছে তৃণমূল। পুলিশের ভূমিকাও ‘নিস্ক্রিয়’। যদিও পুলিশের দাবি, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হয়েছে এ দিন বিকেল পাঁচটা নাগাদ খণ্ডঘোষের প্রার্থী অসীমা রায়ের সমর্থনে দলের ৮ কর্মী দেওয়ালে পোস্টার সাঁটছিলেন ওই গ্রামের শিবতলায়। তখনই চারটে মোটরবাইকে ১২ জনের একটি দল এসে দাঁড়ায়। তাঁদের কয়েকজনের মুখে কালো কাপড় বাঁধা ছিল, হাতে ছিল লাঠি, টাঙি। অভিযোগ, পোস্টার মারা শেষে সিপিএম কর্মীরা বাড়িমুখো হতেই তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা তাঁদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। লাঠি-টাঙ্গি দিয়ে মারধর করা হয়। কারও মাথায় লাগে তো কারও হাতে। কিছুক্ষণের মধ্যেই পালিয়ে যান হামলাকারীরা। সিপিএমের দাবি, কর্মীরা আহত অবস্থায় বেশ কিছুক্ষণ পড়েছিলেন। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করেন।

Advertisement

আহত শেখ সজল, বিজয় ঢালি, পবন হেমব্রম ও মহাদেব সাঁতরাদের অভিযোগ, “আচমকা আমাদের উপর হামলা হয়। উদ্দেশ্য, ভয় দেখিয়ে জোটের প্রচার বন্ধ করা।” সিপিএমের অভিযোগ, এর আগেও বৃহস্পতিবার ও শনিবারও তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁদের কর্মীদের উপর হামলা চালায়। আহতদের হাসপাতালে নিয়ে আসা সিপিএমের ছাত্র সংগঠনের নেতা বিনোদ ঘোষের অভিযোগ, “এখনও পর্যন্ত ওই গ্রামে কেন্দ্রীয় বাহিনী টহল দেয়নি। পাঁচ বছর পর আমাদের সমর্থনে মানুষ রাস্তায় নামছে দেখে তৃণমূল ভয় পেয়েছে।” সিপিএমের খণ্ডঘোষ জোনাল কমিটির সম্পাদক দেশবন্ধু হাজরার অভিযোগ, “পরিকল্পিত ভাবে আক্রমণ করেছে তৃণমূল। পুলিশ নিস্ক্রিয় থাকায় মানুষের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।” যদিও অভিযোগ মানতে চাননি ওই বিধানসভার তৃণমূলের নির্বাচনী সভাপতি অপার্থিব ইসলাম। তাঁর কথায়, “সিপিএম নাটক করছে। বৈঠকে নেতারা বলছেন এলাকা শান্ত রয়েছে, আর বাইরে এসে কাঁদছে!” এসডিপিও (বর্ধমান দক্ষিণ) সৌমিক সেনগুপ্ত বলেন, “সিপিএমের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। তল্লাশি চলছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন