—প্রতীকী চিত্র।
পাত্রীর বয়স ১৮ পেরিয়েছে, কিন্তু পাত্র নাবালক। নথি দেখে ২০ বছরের ওই যুবকের বিয়ে আটকে দিল প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার ভাতার ব্লক দফতরে এসে পাত্রের বাবা, ভাতারের মিরেপাড়ার বাসিন্দা শেখ আজাহার মুচলেকা দিয়ে জানান, ছেলের বয়স ২১ না হওয়া পর্যন্ত তিনি বিয়ে দেবেন না। তাঁর আরও দাবি, তাঁরা জানতেন ১৮ হলেই বিয়ের পিঁড়িতে বসা যায়।
বৃহস্পতিবার ভাতারের বিডিও শুভ্র চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘রূপশ্রী প্রকল্পের নিয়ম অনুযায়ী বিয়ের সময় পাত্রের বয়স ২১ হতে হবে। এ দিনের ঘটনা এটাই বুঝিয়ে দেয়, আমরা শুধু মেয়ের বয়স দেখে বিয়ে আটকাই না। ছেলেদের বয়সের দিকেও আমাদের নজর রয়েছে।’’
কয়েক দিন আগে জামালপুরে ১৬ বছরের এক নাবালকের বিয়ে আটকে দিয়েছিল চাইল্ড লাইন। সে ক্ষেত্রেও মেয়েটির বয়স আঠারো পেরিয়ে গিয়েছিল। ভাতার ব্লক সূত্রে জানা যায়, রূপশ্রী প্রকল্পের আবেদন করার সময় মেয়ের সঙ্গে প্রস্তাবিত পাত্রের বয়সেরও প্রমাণ পত্র জমা দিতে হয়। ভাতারের বামশোর গ্রামের এক বাসিন্দা ওই প্রকল্পের ২৫ হাজার টাকা পাওয়ার জন্যে নিয়ম মেনে বুধবার সব কাগজপত্র জমা দেন। কিন্তু কাগজপত্র পরীক্ষা করতে গিয়ে সংশ্লিষ্ট আধিকারিক উজ্জ্বল সামন্ত দেখেন, মিরেপাড়ার পাত্রের বয়স ২১ বছর হয়নি। তাঁর জন্ম ১৯৯৯ সালের ২০ মে। বৃহস্পতিবারই ওই দুটি পরিবারকে ডেকে পাঠান ভাতার ব্লকের কর্তারা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই যুবক পেশায় রাজমিস্ত্রি। আর তাঁর বাবা রাস্তার ধারে ফলের রস বিক্রি করেন। এ দিন ব্লকে আলোচনার সময় পাত্রের বাবা শেখ আজাহার বলেন, “ছেলের বয়স ২১ না হলে দেওয়া যায় না, এমনটা তো আগে জানতাম না। সরকারের নিষেধ রয়েছে জানলে এই ভুল করতাম না।’’ পাত্রীর বাবাও একই কথা বলেন। তিনি জানান, ১৮ বছরের নীচে মেয়ের বিয়ে দেওয়া যায় না জানা ছিল। কিন্তু ছেলের বয়সের মাপকাঠি জানতেন না তাঁরা।
পাত্রও বলে, ‘‘আমি তো জানতাম ১৮ বছর বয়স হলেই বিয়ে করা যায়। এখন শুনছি ২১ না হলে হবে না। সরকারের নিয়ম মেনেই বিয়ে করব বলে লিখে দিয়ে এসেছি।’’