বিজেপি কর্মীদের মারের অভিযোগ

যদুভট্ট মঞ্চে বৃহস্পতিবার দলীয় কর্মিসভায় যোগ দিতে আসার পথে বিজেপি নেতা-কর্মীদের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। দলের খণ্ডঘোষের কর্মীরা আক্রান্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পাত্রসায়র শেষ আপডেট: ১৫ মার্চ ২০১৯ ০০:৪৩
Share:

বর্ধমান থানার সামনে বিক্ষোভ বিজেপি-র। বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র

যদুভট্ট মঞ্চে বৃহস্পতিবার দলীয় কর্মিসভায় যোগ দিতে আসার পথে বিজেপি নেতা-কর্মীদের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। দলের খণ্ডঘোষের কর্মীরা আক্রান্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ। বিজেপির রাজ্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার জানান, তিনি বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন।

Advertisement

জয়প্রকাশ জানান, এ দিন বিজেপির শক্তিকেন্দ্র এবং মণ্ডল সভাপতিদের নিয়ে সভা ছিল বিষ্ণুপুরে। পাত্রসায়রে ঢোকার মুখে তাঁদের চারটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। মারধর করা হয় কর্মীদের। বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি স্বপন ঘোষের অভিযোগ, ‘‘খণ্ডঘোষ থেকে কর্মীরা কয়েকটি গাড়িতে বিষ্ণুপুর আসছিলেন। পাত্রসায়র থানার অদূরে গাড়িগুলি দাঁড় করিয়ে কর্মীদের মারধর করে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। টাকা পয়সাও ছিনতাই করে তারা।’’ তাঁর আরও অভিযোগ, ‘‘আমাদের দলের বেশ কয়েক জন কর্মীকে অনেকক্ষণ খুঁজে পাওয়া যায়নি। সাত জন কর্মীকে মারধর করা হয়। পাত্রসায়র থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।’’

মনোজ মণ্ডল নামে এক বিজেপি কর্মীর অভিযোগ, ‘‘আমাদের গাড়ি পাত্রসায়র থানার কাছাকাছি পৌঁছতেই কয়েক জন লাঠি নিয়ে রাস্তায় নেমে আসে। গাড়ি থামিয়ে আমাদের মারতে থাকে। সব কিছু ছিনিয়ে নেয়। পালিয়ে গিয়ে প্রাণে বাঁচি।’’

Advertisement

স্বপনবাবুর দাবি, সুদাস মহন্ত নামে গুরুতর আহত এক কর্মীকে বিষ্ণুপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা অস্ত্র হাতে তাণ্ডব চালালেও পুলিশ নিষ্ক্রিয় ছিল। বিষ্ণুপুরের এসডিপিও সুকোমলকান্তি দাস অবশ্য বলেন, ‘‘বিজেপির লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পাত্রসায়র থেকে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া বিষ্ণুপুরের বহিষ্কৃত তৃণমূল সাংসদ সৌমিত্র খাঁ বলেন, ‘‘সরকার পক্ষের লোকজন আমাদের দলের কর্মীদের মারধর করেছে।’’ তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য সমস্ত অভিযোগই অস্বীকার করেছেন। বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী শ্যামল সাঁতরার পাল্টা দাবি, ‘‘তৃণমূলের কোনও কর্মী ওই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নয়। বিজেপি-র গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে ওই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। কারণ, তৃণমূল কর্মীরা এখন প্রচারে ব্যস্ত।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন