প্রতীকী ছবি।
২৮ থেকে একেবারে ৭৮।
গত লোকসভা নির্বাচনে বর্ধমান পূর্ব ও বর্ধমান দুর্গাপুর কেন্দ্রের ২৮টি বুথ মহিলারা পরিচালনা করেছিলেন। এ বার এক ধাক্কায় ৫০টি বেড়ে মহিলা বুথের সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ৭৮-এ। জেলা প্রশাসনের দাবি, শহর ভিত্তিক প্রতিটা বিধানসভা এলাকাতেই মহিলা বুথ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৈঠক করে যাবতীয় প্রস্তুতিও সেরে ফেলা হয়েছে।
গত লোকসভা ভোটে প্রথম মহিলা পরিচালিত ভোটগ্রহণ কেন্দ্র হয় এ জেলায়। বর্ধমান পূর্ব, বর্ধমান-দুর্গাপুর ছাড়াও আসানসোল ও বোলপুর লোকসভার ভিতর থাকা তিনটি বিধানসভা (আউশগ্রাম, মঙ্গলকোট ও কেতুগ্রাম) নিয়ে মোট ৫০টি মহিলা পরিচালিত বুথ ছিল। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনেও বেশ কিছু মহিলা বুথ ছিল। তবে তা মূলত জেলা সদরেই সীমাবদ্ধ ছিল।
এ বার জেলার ৪৪৫৬টি বুথের জন্যে ২১,৭৮৫ জন ভোটকর্মী প্রয়োজন। তার মধ্যে মহিলাদের ৭৮টি বুথের জন্যে (বর্ধমান পূর্বে ৪৯টি, বর্ধমান দুর্গাপুরে ২৯টি) ৩৭৬ জন মহিলা ভোটকর্মীর প্রয়োজন রয়েছে বলে জানান জেলাশাসক তথা জেলা নির্বাচন আধিকারিক অনুরাগ শ্রীবাস্তব। তার জন্য অন্য জেলা থেকে ভোটকর্মী আনতে হবে না বলেও তাঁর দাবি। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, নির্বাচন কমিশন এত দিন পর্যন্ত দু’টি ধাপে ভোটকর্মীদের প্রশিক্ষণ দিতেন। এ বার তিনটে ধাপে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। সঙ্গে এইভিএম ও ভিভিপ্যাট নিয়ে বিশেষ প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, মহিলা পরিচালিত বুথগুলিতে রিটার্নিং অফিসার, পোলিং অফিসার সবাই মহিলা হবেন। পরিচয়পত্র দেখা থেকে আঙুলে কালি দেওয়ার কাজ, সবই তাঁরা করবেন। তবে কোন কোন বুথগুলি মহিলা পরিচালিত হবে তা এখনও সম্পূর্ণ ভাবে তৈরি হয়নি বলে দাবি জেলা প্রশাসনের এক কর্তার। তিনি জানান, সাধারণত ভোটের আগের দিনই কর্মীরা পৌঁছে গিয়ে বুথ তৈরির সব কাজ করেন। অনেক সময় পরিস্থিতি প্রতিকূল থাকে। সে সব ক্ষেত্রে মহিলা কর্মীদের যাতে অসুবিধে না হয় তাই ডিসিআরসি-র কাছে মহিলা বুথ তৈরি করা হতে পারে।
জেলা প্রশাসনের এক কর্তা দাবি করেন, “পুরুষ কর্মীদের মধ্যে ভোটের ডিউটি এড়ানোর চেষ্টা থাকে। গত বার মহিলাদের মধ্যে সেই চেষ্টা দেখিনি। আশা করছি, যাঁরা ভোটকর্মীর চিঠি পাবেন, এ বারও তাঁরা বুথে যাওয়ার জন্যে পা বাড়িয়ে থাকবেন।’’