ভোটের আগে বাড়ি-বাড়ি মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছা

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, খাদ্য দফতর ও স্বাস্থ্য দফতর বাড়ি বাড়ি এই চিঠি পৌঁছনোর জন্য আশাকর্মী, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের কাজে লাগাচ্ছে। আর কৃষি দফতর পঞ্চায়েতের মাধ্যমে কৃষক বন্ধু প্রকল্পের শিবির থেকেই শুভেচ্ছা বার্তা দিচ্ছে প্রাপকদের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০০:০৬
Share:

ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন! মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সই করা এই শুভেচ্ছাবার্তা পৌঁছে যাচ্ছে বাড়ি বাড়ি। ইতিমধ্যেই কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, সমাজকল্যাণ দফতরের মাধ্যমে বিভিন্ন সামাজিক প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের হাতে ওই চিঠি পৌঁছে গিয়েছে। এ বার কৃষি দফতর, খাদ্য দফতর ও স্বাস্থ্য দফতর তাদের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধাপ্রাপকদের বাড়ি গিয়ে ওই চিঠি দেবে।

Advertisement

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, খাদ্য দফতর ও স্বাস্থ্য দফতর বাড়ি বাড়ি এই চিঠি পৌঁছনোর জন্য আশাকর্মী, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের কাজে লাগাচ্ছে। আর কৃষি দফতর পঞ্চায়েতের মাধ্যমে কৃষক বন্ধু প্রকল্পের শিবির থেকেই শুভেচ্ছা বার্তা দিচ্ছে প্রাপকদের। জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেন, “প্রতিটি দফতরই সুবিধাপ্রাপকদের বাড়ি গিয়ে বা হাতে হাতে মুখ্যমন্ত্রীর সই করা শুভেচ্ছা বার্তা পৌঁছে দিতে শুরু করেছে। দ্রুত ওই চিঠি যাতে প্রাপকদের হাতে পৌঁছে যায় তার জন্যে সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’’ আজ, বুধবার থেকে স্বাস্থ্য দফতর জেলার ৪৪ হাজার সুবিধাপ্রাপকদের কাছে চিঠি পৌঁছনোর কাজ শুরু করবে বলেও জানা গিয়েছে। ওই দফতরের দাবি, ‘বাংলা মাতৃ প্রকল্পে’র মাধ্যমে যে সব প্রসূতিরা রাজ্য সরকারের সুবিধা পেয়েছেন তাঁরা চিঠি পাবেন। আবার স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের সুবিধা যাঁরা নিয়েছেন, তাঁদেরও শুভেচ্ছা-বার্তা পাঠানো হবে। কৃষি দফতরেরও দাবি, ভর্তুকির মাধ্যমে কৃষিযন্ত্র কিনেছেন যাঁরা, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিপূরণ ও কৃষি-পেনশন পান যাঁরা সবাই চিঠি পাবেন। জেলায় ২ লক্ষ ৪ হাজার উপভোক্তারা ওই চিঠি পাবেন।

প্রশাসন সূত্রের খবর, বিশ্ব বাংলার লোগো দেওয়া চিঠিতে প্রাপককে ‘সাথী’ বলে সম্বোধন করা হয়েছে। তারপরে লেখা রয়েছে, ‘২০১১ সালের মে মাসে পশ্চিমবঙ্গে বিপুল জনসমর্থনে বর্তমান রাজ্য সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে বিগত ৮ বছর রাজ্যের সার্বিক উন্নয়নে নিরলস প্রয়াস গ্রহণ করে চলেছে। বিশেষতঃ রাজ্যের আর্থিক ভাবে দুর্বল ও পিছিয়ে পড়া সমস্ত মানুষদের জন্য বর্তমান রাজ্য সরকার তার নিজস্ব বাজেট বরাদ্দ থেকে গ্রহণ করেছে একগুচ্ছ আর্থ সামাজিক প্রকল্প’। তারপরেই নির্দিষ্ট দফতরের নির্দিষ্ট প্রকল্প উল্লেখ করে লেখা হচ্ছে ‘আপনাকে একজন উপভোক্তা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আশা করি, এই প্রকল্প আপনার দৈনন্দিন জীবনযাত্রা সামগ্রিক মানোন্নয়নে সাহায্য করছে। আগামী দিনেও এই প্রকল্পের যাবতীয় সুযোগ সুবিধা প্রদান করে এই উন্নয়নের যজ্ঞে আরও বেশি সামিল হবার সুযোগ পাব।’ শেষে লেখা রয়েছে, ‘ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন’। লোকসভা নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার আগেই উপভোক্তাদের কাছে ওই চিঠি পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছে জেলা প্রশাসন।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন