দুর্গাপুরের প্রচার মিছিলে প্রাক্তন ফুটবলারেরা। নিজস্ব চিত্র
এ বার প্রচারে নামতে দেখা গেল প্রাক্তন ফুটবলারেরা। শনিবার দুর্গাপুরে এসেছিলেন অ্যালভিটো ডি কুনহা, রহিম নবি, বিদেশ বসু, সমরেশ চৌধুরী, মানস ভট্টাচার্য-সহ এক ঝাঁক প্রাক্তন ফুটবলার।
এ দিন দুপুর আড়াইটা নাগাদ হেলিকপ্টারে চড়ে ফুটবলারেরা নামেন ভগৎ সিংহ স্টেডিয়ামে। বিকেলে ভিড়িঙ্গি মোড় থেকে বার হওয়া একটি মিছিলে যোগ দেন তাঁরা। সেখানে স্লোগান ছিল, ‘দিদি তুমি দিল্লি চলো, আমরা তোমার সঙ্গে আছি।’ সেই মিছিলেই দেখা যায় তৃণমূলের জেলা কার্যকরী সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায়কেও। তাঁর যদিও দাবি, ‘‘অরাজনৈতিক মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন ফুটবলারেরা।’’ যদিও মিছিলের পিছনে দিকে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাট-আউট ছিল। কালীবাড়ি পর্যন্ত গিয়ে ফুটবলারেরা মিছিলে আর থাকেননি। পরে মিছিলে তৃণমূলের পতাকা নজরে এসেছে। মিছিল শেষ হয় বেনাচিতির পাঁচমাথার মোড়ে।
তবে হেলিকপ্টার নামার প্রয়োজনীয় অনুমতি নেই দাবি করে তাঁরা নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন বলে জানান বিজেপি নেতা অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায়। এ প্রসঙ্গে উত্তমবাবুর বক্তব্য, ‘‘সমস্ত অনুমতি নেওয়া ছিল। তা ছাড়া অনুমতির বিষয়টি বিজেপি নেতারা জানলেন কি করে।’’ প্রশাসন সূত্রেও জানা যায়, নির্দিষ্ট নিয়ম মেনেই হেলিকপ্টার নেমেছে।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
এ দিন জেমুয়ার পাশাপাশি কালিগঞ্জেও প্রচার সারেন আসানসোল কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী গৌরাঙ্গ চট্টোপাধ্যায়। পথে একটি হাটে নেমে ক্রেতা, বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলেন গৌরাঙ্গবাবু। সেখানে দুর্গাপুরের নানা এলাকার বাসিন্দাদের দেখে তাঁদের ওই কেন্দ্রের (বর্ধমান-দুর্গাপুর) সিপিএম প্রার্থী আভাস রায়চৌধুরীকেও ভোট দেওয়ার আর্জি জানান গৌরাঙ্গবাবু।
এসইউসি প্রার্থী সুচেতা কুণ্ডু এএসপি গেটে প্রচার করেন। এএসপি-র কেন্দ্রীয় সরকারের কৌশলগত বিলগ্নিকরণের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি শ্রমিকদের পাশে থাকার বার্তা দেন। মায়াবাজারে প্রচারে গিয়ে যানজট রুখতে রেললাইনের উপরে ওভারব্রিজের দাবি জানান তিনি। এ ছাড়াও, এদিন তিনি ডিপিএল, ডিসিএল এবং রাতুরিয়া-অঙ্গদপুর শিল্পতালুকে প্রচার সারেন তিনি।