জ্বলজ্বল করছে হোর্ডিং, নালিশ

নির্বাচনের দিন ঘোষণার পরে কেটে গিয়েছে তিন দিন। অথচ দুর্গাপুর ও কাঁকসার বহু জায়গায় এখনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবি দেওয়া বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের প্রচারের ব্যানার, হোর্ডিং সরানো হয়নি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর ও কাঁকসা শেষ আপডেট: ১৪ মার্চ ২০১৯ ০০:০০
Share:

১) কাঁকসায় কেন্দ্রীয় প্রকল্পের হোর্ডিং। নিজস্ব চিত্র

নির্বাচনের দিন ঘোষণার পরে কেটে গিয়েছে তিন দিন। অথচ দুর্গাপুর ও কাঁকসার বহু জায়গায় এখনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবি দেওয়া বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের প্রচারের ব্যানার, হোর্ডিং সরানো হয়নি। তা নিয়ে দু’দল একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছে। ইতিমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে বলে প্রশাসন জানিয়েছে।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত দুর্গাপুর শহর-সহ ২ নম্বর জাতীয় সড়কের বিভিন্ন জায়গায় ওই সব হোর্ডিং, ব্যানার দেখা গিয়েছে। একই চিত্র কাঁকসাতেও। কাঁকসার পানাগড় ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি দেওয়া সরকারি স্বাস্থ্য প্রকল্পের হোর্ডিং নজরে এসেছে এ দিন বিকেলেও। তেমনই প্রধানমন্ত্রীর ছবি দেওয়া ‘উজ্জ্বলা প্রকল্পে’র প্রচারের বড় হোর্ডিং কাঁকসার একটি পেট্রল পাম্পেও রয়েছে।

তবে সব জায়গায় যে একই ছবি, তা নয়। দুর্গাপুর আদালত চত্বরে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি দেওয়া একটি বিশাল হোর্ডিং ছিল। এ দিন বিকেলের দিকে দেখা গিয়েছে, প্রশাসনের তরফে ওই হোর্ডিং সরানো হয়।

Advertisement

এই পরিস্থিতিতে হোর্ডিং নিয়ে চাপানউতোর তৈরি হয়েছে তৃণমূল-বিজেপি’তে। মুখ্যমন্ত্রীর ছবি দেওয়া প্রচারের হোর্ডিং, ব্যানার না সরানোয় বিডিও-র (কাঁকসা) কাছে স্মারকলিপি দেন বিজেপি নেতা রমন শর্মা। তৃণমূলের পাল্টা অভিযোগ, একটি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার পেট্রল পাম্পে প্রধানমন্ত্রীর ছবি দেওয়া ‘উজ্জ্বলা প্রকল্পে’র প্রচারের বড় হোর্ডিং জ্বলজ্বল করছে। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এটিএম-এও প্রধানমন্ত্রীর ছবি দেওয়া পোস্টার রয়েছে বলে তাঁদের অভিযোগ। সেগুলিও সরিয়ে ফেলার দাবি জানিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। কাঁকসার ওই পেট্রল পাম্প কর্তৃপক্ষ অবশ্য জানান, নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে সেগুলি সরিয়ে দিতে বলা হয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে এই হোর্ডিং লাগানো হয়েছে। কাজেই নির্বাচন কমিশন নিজে থেকে খুলে নিলেই ভাল।

তৃণমূলের জেলা কার্যকরী সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘রাজ্য সরকারের তরফে লাগানো বিভিন্ন ব্যানার, হোর্ডিং খোলার প্রক্রিয়া প্রশাসনের তরফে শুরু করা হয়েছে। আমাদের দলের তরফে যদি কোথাও পতাকা বা ফেস্টুন লাগানো থাকে তা হলে, আমরা নিশ্চয়ই সরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করব।’’ অন্য দিকে, বিজেপির জেলা সভাপতি লক্ষ্মণ ঘোড়ুই বলেন, ‘‘আদর্শ আচরণ বিধি চালু হওয়ার তিন দিন পরেও রাজ্যের শাসক দলের নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীর ছবি দেওয়া বহু হোর্ডিং, ব্যানার বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে। আমরা প্রশাসনের কাছে যত দ্রুত সব সরিয়ে ফেলার আর্জি জানিয়েছি।’’

মহকুমা রিটার্নিং আধিকারিক অনির্বাণ কোলে বলেন, ‘‘প্রশাসনের বিশেষ দল ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন জায়গায় থাকা ব্যানার, হোর্ডিং খোলার কাজ শুরু করেছে। যত দ্রুত সম্ভব সব সরিয়ে ফেলা হবে।’’

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন