বিক্ষোভে মাইক্রো অবজ়ারভারেরা। নিজস্ব চিত্র
ভোট দিতে না পারা, চূড়ান্ত হয়রানি ও অব্যবস্থার প্রতিবাদে সরব হলেন মাইক্রো অবজ়ারভারেরা। মঙ্গলবার বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের ছশো মাইক্রো অবজ়ারভার বিক্ষোভ দেখান বর্ধমানের ইউনির্ভাসিটি ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি ক্যাম্পাসের ডিসিআরসি (ডিস্ট্রিবিউশন সেন্টার অ্যান্ড রিসিভিং সেন্টার)-তে। পরে প্রশাসনের আশ্বাসে অবরোধ উঠে যায়।
মাইক্রো অবজ়ারভারদের অভিযোগ, সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনে তাঁদের জন্য পোস্টাল বা ইডি ভোটের ব্যবস্থা করা হয়নি। ফলে কেউই ভোট দিতে পারেননি তাঁরা। ভোটের আগের দিনও এখানেই পোস্টাল ব্যালট না পাওয়া নিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন ভোটকর্মীরা। ভোট প্রক্রিয়ায় যাঁরা যুক্ত আছেন, তাঁরা কেন ভোটদানে বিরত থাকবেন, সে প্রশ্নও এ দিন তোলেন তাঁরা। ভোটকর্মীদের দাবি, যেখানে জেলা প্রশাসন, নির্বাচন কমিশন সবাইকে বারবার ভোট দিতে আহ্বান জানিয়েছে। ব্যানার, পোস্টার, হোর্ডিং, শর্ট ফিল্ম, অ্যাপ তৈরি হয়েছে ভোটারদের সচেতনতায়। সেখানে কর্মীরা বাদ পড়লেন কেন, উঠেছে সে প্রশ্নও। দৈনিক ভাতা না মেলা নিয়েও অভিযোগ জানিয়েছেন তাঁরা। মাইক্রো অবজ়ারভারদের দাবি, তাঁদের দৈনিক ভাতা ৩৫০ টাকা। সেই টাকাও দেওয়া হয়নি। চূড়ান্ত অব্যবস্থা হয়েছে বলে তাঁদের দাবি। বুদ্ধদেব নন্দী, কল্যাণ কেসরা বলেন, ‘‘ভোট না দেওয়া, টাকা না পাওয়ার মতো নানা সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছে আমাদের। তাই এই বিক্ষোভ।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
বিক্ষোভের সময় ইউআইটিতে ছিলেন জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব। তাঁর ঘরের সামনেও বিক্ষোভ হয়। পরে জেলাশাসক নিজে এসে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়গুলি সমাধানের আশ্বাস দেন। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পোস্টাল ব্যালটগুলি ডাকযোগে পাঠানো হয়েছে। সেখানে কোনও ভাবে দেরি হতে পারে। আর বাকি তিন দফা নির্বাচনে যে ভোটকর্মীদের ভোট রয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে সমস্যা হওয়ার কথা নয় বলেও প্রশাসনের দাবি।