কার আর্জিতে কাজ? দুই নেতাকেই চিঠি মুখ্যমন্ত্রীর

তাহলে কার উদ্যোগে, আর্জিতে হাসপাতালের উন্নীত হল— প্রশ্ন ঘুরছে ভাতারের বাসিন্দাদের মনে। অনেকে মনে করছেন, দু’জনই সরব হয়েছিলেন বলে মুখ্যমন্ত্রী দু’জনকেই চিঠি দিয়ে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। কারও একার লড়াইয়ে হয়নি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০০:৫৯
Share:

​জেলার প্রশাসনিক সভায় ভাতার গ্রামীণ হাসপাতালকে ৫০ শয্যা থেকে ১২০ শয্যায় উন্নীত করার ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ধরে নেওয়া হয়েছিল ‘দিদি’র ইচ্ছেতেই ওই সিদ্ধান্ত হয়েছে। কিন্তু সপ্তাহ খানেক আগে মুখ্যমন্ত্রীর সই করা দুটি চিঠি সামনে আসতেই ‘গোল’ বেধেছে!

Advertisement

কী রয়েছে ওই চিঠিতে?

গত ৮ সেপ্টেম্বর নবান্ন থেকে পাঠানো মুখ্যমন্ত্রীর সই করা একটি চিঠিতে জেলার মন্ত্রী স্বপন দেবনাথকে সম্বোধন করে লেখা হয়েছে, ‘ভাতার গ্রামীণ হাসপাতালের শয্যা বৃদ্ধির জন্য তুমি আমাকে অনুরোধ করেছিলে। এলাকার মানুষের কথা ভেবে ভাতার গ্রামীণ হাসপাতালটিকে ৫০ থেকে ১২০ শয্যার স্টেট-জেনারেল হাসপাতালে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি’। ভাতারের প্রাক্তন বিধায়র বনমালী হাজরাকেও ‘বনমালী দা’ সম্বোধনে একই বয়ানে ওই তারিখেই চিঠি পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। চিঠি পাওয়ার পরে তাঁর দাবি, “মুখ্যমন্ত্রীকে আমাদের হাসপাতাল নিয়ে অনেক আগে বলেছিলাম। উনি সেটা মনে রেখেছেন। এটাই আমাদের পাওনা।”

Advertisement

চিঠি সামনে আসার পরে সেটি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা থেকে ব্যানার-ফ্লেক্স টাঙিয়ে প্রাক্তন বিধায়কে ধন্যবাদ দিতে শুরু করেছিলেন তাঁর অনুগামীরা। রাস্তাঘাটেও তাঁদের বলতে শুরু করেন, ‘দাদার জন্যই তো ভাতারের হাসপাতালের চেহারা বদলাতে শুরু করবে। বাকি দাদারা তো চুপসে গেল!’ এই পরিস্থিতিতেই বৃহস্পতিবার বিকেলে মাঠে নেমে মন্ত্রী স্বপনবাবুকে পাঠানো চিঠি। তৃণমূলের একাংশ নেতা-কর্মীদের হোয়াটস অ্যাপে ঘুরতে থাকে ওই চিঠি। যা দেখিয়ে বনমালীবাবুর-বিরোধীদের কটাক্ষ, “একা একা ক্ষীর খেতে চেয়েছিলেন কেউ কেউ। তাতে নুন ঢেলে দিল স্বপনবাবুকে দেওয়া চিঠি।”


দুই-চিঠি: স্বপন দেবনাথ ও বনমালী হাজরাকে পাঠানো চিঠি। নিজস্ব চিত্র

তাহলে কার উদ্যোগে, আর্জিতে হাসপাতালের উন্নীত হল— প্রশ্ন ঘুরছে ভাতারের বাসিন্দাদের মনে। অনেকে মনে করছেন, দু’জনই সরব হয়েছিলেন বলে মুখ্যমন্ত্রী দু’জনকেই চিঠি দিয়ে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। কারও একার লড়াইয়ে হয়নি।

বনমালীবাবু বা স্বপনবাবু অবশ্য এ বিষয়ে সরাসরি মুখ খোলেননি। তবে তাঁদের ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছেন, ‘দাদা’দের জন্যেই গ্রামীণ হাসপাতালের উন্নতি ঘটতে চলেছে। যদিও প্রাক্তন বিধায়কের বিরোধী-গোষ্ঠীর নেতা বলে পরিচিত, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ শান্তনু কোনারের সতর্ক জবাব, “ক্রেডিট এক জনেরই। তিনি হলেন মুখ্যমন্ত্রী।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন