কয়লা চোর সন্দেহে অষ্টম শ্রেণির এক পড়ুয়াকে মারধরের অভিযোগ উঠল ইসিএলের নিরাপত্তারক্ষীদের বিরুদ্ধে। এর প্রতিবাদে শনিবার সালানপুরের ডাবর কোলিয়ারিতে কর্মরত শ্রমিকদের বের করে দিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন বাসিন্দাদের একাংশ। এর জেরে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উৎপাদন বন্ধ থাকে ওই কোলিয়ারিতে।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, এ দিন কোলিয়ারি লাগোয়া মাঠে সকালে প্রাতঃকৃত্য করতে গিয়েছিল স্থানীয় আছড়া গ্রামের বাসিন্দা ওই ছাত্র। অভিযোগ, ইসিএলের কয়েক জন নিরাপত্তারক্ষী ওই ছাত্রকে দেখতে পেয়ে তেড়ে যান এবং বেধড়ক মারধর করেন। গ্রামবাসীদের দাবি, মারধরের জেরে ওই ছাত্রের ডান হাতে সামান্য চিড় ধরেছে। এই খবর চাউর হতেই আছড়া ও লাগোয়া কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশ কোলিয়ারিতে চলে আসেন। খনি সূত্রে খবর, কর্মরত শ্রমিকদের কোলিয়ারি থেকে বের করে দেন গ্রামবাসীরা। বন্ধ হয়ে যায় খনির উৎপাদন। যদিও গ্রামবাসীদের অভিযোগ অস্বীকার করে ইসিএলের নিরাপত্তা আধিকারিক রাজা পালের দাবি, রক্ষীরা কয়লা চোরদের তাড়া করে তাড়িয়ে দিয়েছেন। কোনও ছাত্রকে মারধর করা হয়নি।
পরিস্থিতির সামাল দিতে সিআইএসএফ জওয়ানদের নামানো হয়। কিন্তু এর ফলে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বিক্ষোভ চলাকালীন ঘটনাস্থলে আসেন আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি (পশ্চিম) অগ্নিশ্বর রায়। তিনিই বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতির সামাল দেন। পুলিশের উপস্থিতিতেই গ্রামবাসীদের সঙ্গে বৈঠক করে অভিযোগ খতিয়ে দেখে উপযুক্ত পদক্ষেপ করার আশ্বাস দেওয়া হলে বিক্ষোভ ওঠে। শেষমেশ দুপুর দু’টো নাগাদ খনির উৎপাদন ফের শুরু হয়।
এই ঘটনায় অবশ্য শনিবার রাত পর্যন্ত কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি গ্রামবাসীরা। যদিও ডাবর কোলিয়ারির এজেন্ট নিরজকুমার সিংহ বলেন, ‘‘এ রকম একটি ঘটনা ঘটেছে। আমরা বিভাগীয় তদন্ত করে দেখছি।’’