আগের দিনই পারিবারিক বিবাদ থেকে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব বেধেছিল মন্তেশ্বরের কুলুট গ্রামে। আহতও হন ছ’জন। রেশ কাটতে না কাটতেই ফের দুই গোষ্ঠীর গোলমাল বাধল কুসুমগ্রামে।
রবিবার বিকেলে কুসুমগ্রাম বাজারে লাঠি, রড নিয়ে জড়ো হয়ে যান দু’দল। শুরু হয় মারপিট। ভাঙচুর করা হয় কয়েকটি দোকানেও। প্রথমে পুলিশ, রাতে জেলা থেকে র্যাফ এনে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়। পুলিশ দু’দলের ১২ জনকে গ্রেফতার করে। এক জন আহতকে মন্তেশ্বর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়েছে।
কুসুমগ্রামে শাসক দলের গোষ্ঠী সংঘর্ষ অবশ্য নতুন নয়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিধানসভা ভোটের আগে এই গ্রামের দুই তৃণমূল নেতা কেতাবুল শেখ এবং রসিদ শেখের মধ্যে এলাকা দখল নিয়ে প্রায়ই সংঘর্ষ হতো। ভোটে মন্তেশ্বরের তৃণমূল প্রার্থী সজল পাঁজা জয়ী হলেও পিছিয়ে ছিলেন কুসুমগ্রাম পঞ্চায়েতে। তবে ভোটের পরে কেতাবুল-রসিদকে এক করে ফেলেছিলেন সজলবাবু। স্থানীয় সূত্রের খবর, সজলবাবুর মৃত্যুর পরে আরও একটি গোষ্ঠী মাথাচাড়া দেয়। বাবুল শেখ ও আজমত শেখ সেটির মাথা। সজলবাবুর ছেলে সৈকত পাঁজা উপনির্বাচনে কুসুমগ্রাম থেকে সবথেকে বেশি ভোটে জিতলেও এলাকায় তিনি রাশ টানতে পারেননি বলে দলেরই একাংশের দাবি। ফলে কেতাবুল-রসিদের সঙ্গে বাবুল-আজামতের এলাকা দখল নিয়ে গোলমাল লেগেই ছিল। স্থানীয় সূত্রের খবর, গত সাত দিন ধরে একে অপরকে হুমকি দেওয়া, মারামারি চলছিল। রবিবার তা চরমে পৌঁছয়।
সোমবার তৃণমূলের জেলা সভাপতি স্বপন দেবনাথ বলেন, ‘‘বিষয়টি নিয়ে আমরা জেলায় বৈঠক করেছি। দলীয় স্তরে বিষয়টি দেখা হচ্ছে। এটুকু বলতে পারি দল বিরোধী কার্যকলাপ করে কেউ রেয়াত পাবে না।’’ বিধানসভা উপনির্বাচনে কুসুমগ্রাম পঞ্চায়েতের ভার ছিল জেলা সভাধিপতি দেবু টুডুর উপর। এ দিন গোষ্ঠী সংঘর্ষ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনিও বলেন, ‘‘কড়া হাতে দল দেখছে বিষয়টি। দলের সম্মান যারা নষ্ট করছে তাদের শাস্তি হবে।’’ পুলিশ জানিয়েছে, আজামত শেখ ও রসিদ শেখতে গ্রেফতার করা হয়েছে। এলাকায় নজরদারি রয়েছে।