মাওবাদী নেতা অর্ণব দাম। —ফাইল চিত্র।
নানা জটিলতার পর জেলে বসেই পিএইচডি করার অনুমতি পেয়েছিলেন মাওবাদী নেতা অর্ণব দাম। সেইমতো গবেষণার কাজ শুরুও করেছেন। কিন্তু মিলছে না বৃত্তি! এই অভিযোগে ফের জেলে অনশনে বসলেন ওই মাওবাদী নেতা।
অর্ণবের অভিযোগ, তাঁর মেধাকে গুরুত্ব দিতে চাইছে না সরকার। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে বৃত্তির ব্যাপারে স্বজনপোষণেরও অভিযোগ তুলেছেন তিনি। এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকেও তিনি চিঠি লিখেছেন বলে দাবি। অভিযোগ, কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি।
মাওবাদী নেতার অভিযোগ অবশ্য মানতে চাননি বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শঙ্করকুমার নাথ। তিনি বলেন, ‘‘স্কলারশিপ দেওয়ার এক্তিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের নেই। এটা রাজ্য সরকারের ব্যাপার। সুতরাং আমরা শুধুমাত্র নাম পাঠাতে পারি।’’
উপাচার্য জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে অর্ণবকে যতটুকু সাহায্য করা সম্ভব, তা করা হচ্ছে। প্রথমে তাঁকে লাইব্রেরি থেকে বই দেওয়া হচ্ছিল না। উপাচার্যের দাবি, বিষয়টি জানতে পেরে তিনি পদক্ষেপ করেছেন। এখন অর্ণব বই পান। শঙ্কর বলেন, ‘‘অর্ণব দামের রেজিস্ট্রেশন ফি আমরা মকুব করে দিয়েছি। বইপত্র, খাতা-পেন দিয়েছি। গবেষণাপত্র জমা দেওয়ার জন্য ফি জমা করতে হয়। সেটাও মকুব করে দেব। তা ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যনির্বাহী বৈঠকে আমরা অর্ণবকে একটি ল্যাপটপ দেওয়ার বিষয়ে কথা বলব। আমরা কাউকে আর্থিক ভাবে সাহায্য করতে পারি না। তবে ফি কমাতে পারি।’’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক তানভির নাসরিন বলেন, ‘‘অর্ণব পড়াশোনায় খুব ভাল। ভাল রেজাল্টও করেছে। গতকাল বর্ধমান জেলা সংশোধনাগারের সুপার আমাকে ইমেল করে অর্ণবের অনশনের বিষয়টি জানিয়েছেন।’’ যদিও জেল সুপারের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।