Trinamool Youth Congress

বয়স বেঁধে কমিটি, সিদ্ধান্ত যুব তৃণমূলে

দলের রাজ্য স্তর থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যুব সংগঠনে জেলা থেকে বুথ স্তর পর্যন্ত কোনও কমিটিতে চল্লিশের বেশি বয়সীদের রাখা যাবে না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ১৭ অগস্ট ২০২০ ০০:০১
Share:

প্রতীকী ছবি।

সংগঠনের জেলা সভাপতি বদলের পরে, এ বার পূর্ব বর্ধমানে যুব তৃণমূলের ব্লক স্তরেও রদবদলের পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নেতৃত্ব। সংগঠন সূত্রের খবর, রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশ মেনে ৪০ বছরের কমবয়সীদের হাতে সংগঠনের দায়িত্ব দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। জেলা কমিটিতেও চল্লিশোর্ধ্ব কাউকে না রাখার নির্দেশ রয়েছে। জেলা কমিটির আকারও আগের চেয়ে ছোট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে সংগঠনের নেতৃত্বের দাবি।

Advertisement

তৃণমূল সূত্রে জানা যায়, দলের রাজ্য স্তর থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যুব সংগঠনে জেলা থেকে বুথ স্তর পর্যন্ত কোনও কমিটিতে চল্লিশের বেশি বয়সীদের রাখা যাবে না। তা কার্যকর করতে গেলে পূর্ব বর্ধমানে সংগঠনের বড় বদলের সম্ভাবনা রয়েছে। টানা বেশ কয়েক বছর ধরে যুব সংগঠনের ব্লক ও শহর সামলানো নেতাদের অনেকেই বাদ পড়বেন বলে মনে করা হচ্ছে। দল সূত্রে জানা যায়, মেমারি ১, মঙ্গলকোট, মন্তেশ্বর, বর্ধমান শহর, জামালপুর, আউশগ্রাম ১ ও আউশগ্রাম ২, মেমারি শহর, পূর্বস্থলী ২, দাঁইহাট শহর, রায়না ২, কেতুগ্রাম ১ ও কেতুগ্রাম ২— মোট ১৩টি জায়গায় ব্লকের যুব তৃণমূল সভাপতি হিসেবে নতুন মুখ উঠে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। পুরনোদের মূল সংগঠনের ভিতরে এনে কাজ করার সুযোগ দেওয়া হতে পারে বলে ইঙ্গিত নেতৃত্বের।

সম্প্রতি তৃণমূলের নেতৃত্বে রদবদলের সময়ে ভাতারের বিধায়ক সুভাষ মণ্ডলকে জেলা যুব সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দলের জেলা কো-অর্ডিনেটর করে, কয়েকটি বিধানসভার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। জেলা যুব সভাপতি হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে এক সময়ের ছাত্র-নেতা রাসবিহারী হালদারকে। সেই সঙ্গে জেলা যুব তৃণমূলের সব কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। সংগঠনের একাংশের দাবি, নতুন কমিটিতে পুরনো নেতারাই অনেকে ফের জায়গা পাবেন বলে আশা করেছিলেন। কিন্তু বয়সের সীমা বেঁধে তাতে কার্যত জল ঢেলে দিয়েছেন রাজ্য নেতৃত্ব।

Advertisement

যুব তৃণমূল সূত্রে জানা যায়, সভাপতি হওয়ার পরে, ব্লকে-ব্লকে গিয়ে সংগঠনের পরিস্থিতি খোঁজ নিচ্ছেন রাসবিহারী। কিছু জায়গায় অরাজনৈতিক ব্যক্তিদের নিয়ে তৈরি ‘যুবশক্তি’ কর্মসূচির বুথভিত্তিক সংগঠনের হাল ভাল নয় বলে অভিযোগ উঠেছে। যদিও রাসবিহারীর দাবি, ‘‘সব জায়গাতেই এখন যুবশক্তির বুথভিত্তিক সংগঠন হয়ে গিয়েছে। এই ক’দিনে বহু যুবক ওই সংগঠনে যোগ দিয়েছেন। প্রত্যেক সদস্য ১০টি করে বাড়ির দায়িত্ব নিয়েছেন। ‘সোশ্যাল মিডিয়া গ্রুপ’-এর মাধ্যমে ওই সব বাড়ির সমস্যা জেনে সমাধান করা হবে। কোনও কারণে নিচুতলায় সমস্যা না মিটলে রাজ্য নেতৃত্বকে জানানোর সুযোগ রয়েছে।’’

যুব তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্লক ও শহর পিছু নির্দিষ্ট বয়সের দু’জন করে নাম সংগ্রহ করেছেন রাজ্য নেতৃত্ব। তৃণমূল সূত্রের দাবি, ৪৫ থেকে ৫৫ জনকে নিয়ে জেলা কমিটি গঠনের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে নেতৃত্বের তরফে। বয়সের সঙ্গে স্বচ্ছ্ব ভাবমূর্তি মাথায় রেখে কমিটি ও সভাপতিদের নাম চূড়ান্ত করবে দলের সাত সদস্যের শীর্ষ কমিটি। রাসবিহারী জানান, রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশমতো কাজ করা হচ্ছে। তিনি শুধু বলেন, ‘‘সবাই সংগঠনের লোক। সংগঠন কী ভাবে চালাতে হয়, তাঁরা জানেন। সবার অভিজ্ঞতা নিয়ে চলব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন