Mine expansion

খোলামুখ খনি সম্প্রসারণে ফের বাধা নারায়ণকুড়িতে

রানিগঞ্জের এগারা পঞ্চায়েত এলাকায় নারায়ণকুড়ি খোলামুখ খনি চালু হয় ২০১১ সালে। তার পরে আবার ওই খনির সম্প্রসারণের কাজ শুরু হয় গত বছর জুনে। খনি কর্তৃপক্ষ জানান, এ বছর ২৫ মে পর্যন্ত কাজ হয়েছে। সম্প্রসারণের জন্য অধিগৃহীত এলাকায় বহু কয়লা মজুত ছিল। তার মধ্যে অনেকটা তুলেও নেওয়া হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রানিগঞ্জ শেষ আপডেট: ১২ জুলাই ২০১৮ ০৭:১০
Share:

কাজ আটকে বিক্ষোভ। বুধবার। নিজস্ব চিত্র

জনপদের ঢিল ছোড়া দূরত্বে খোলামুখ খনি বন্ধ করার দাবিতে ফের বিক্ষোভ হল রানিগঞ্জের নারায়ণকুড়িতে। বুধবার খনির কাজ বন্ধ রেখে বিক্ষোভ দেখায় ‘নতুন এগারা গ্রাম বাঁচাও কমিটি’।

Advertisement

রানিগঞ্জের এগারা পঞ্চায়েত এলাকায় নারায়ণকুড়ি খোলামুখ খনি চালু হয় ২০১১ সালে। তার পরে আবার ওই খনির সম্প্রসারণের কাজ শুরু হয় গত বছর জুনে। খনি কর্তৃপক্ষ জানান, এ বছর ২৫ মে পর্যন্ত কাজ হয়েছে। সম্প্রসারণের জন্য অধিগৃহীত এলাকায় বহু কয়লা মজুত ছিল। তার মধ্যে অনেকটা তুলেও নেওয়া হয়েছে।

তবে ‘গ্রাম বাঁচাও কমিটি’র অভিযোগ, এলাকায় পানীয় জলের সঙ্কট দেখা দিচ্ছে। জলস্তর অনেক নেমে যাওয়ায় সাবমার্সিবল পাম্পের মাধ্যমে জল তোলা যাচ্ছে না। বসত বাড়িগুলিতে ফাটল ধরছে। কয়লা তোলার জন্য বিস্ফোরণের জেরে পুরাতন এগারা উচ্চ বিদ্যালয়ের দোতলার ছ’টি ঘরে ফাটল ধরেছে। দেওয়াল থেকে সিমেন্টের পলেস্তরা খসে যাচ্ছে। জনপদ থেকে মাত্র পাঁচশো মিটার দূর পর্যন্ত খনি সম্প্রসারণ হয়েছে। তাতেই বিস্ফোরণের আওয়াজ ও কম্পনে বসবাস করা মুশকিল হচ্ছে।

Advertisement

খনি কর্তৃপক্ষ অবশ্য জানান, অধিগ্রহণের সময়ে সবাই জমি দিয়েছেন। নিয়ম মেনে চাকরি ও উপযুক্ত ক্ষতিপূরণও দেওয়া হয়েছে। এর পরে গ্রামবাসীদের একাংশের বিক্ষোভের জেরে সংস্থার আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে। ২৫ মে-র পর থেকে তিন দিন বিক্ষোভের জেরে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। ইসিএলের এক আধিকারিক দাবি করেন, সম্প্রতি বেশ কয়েকবার ‘গ্রাম বাঁচাও কমিটি’র সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে। সেখানে কমিটির প্রতিনিধিরা বক্তব্য মেনে নিলেও ফল হচ্ছে না। কারণ, জোট বেঁধে এক রকম অভিযোগ তুললেও আদতে এলাকার কয়েক জন বিভিন্ন ধরনের দাবি আদায়ের চেষ্টা করছেন, যা মেটানো সম্ভব হচ্ছে না। বুধবার কাজ শুরু করতে গেলে আবার গ্রামবাসীরা বাধা দেন বলে ওই আধিকারিক জানান।

তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের বিদায়ী উপপ্রধান অশোক হেলার বক্তব্য, ‘‘খনি কর্তৃপক্ষ গ্রামবাসীর সঙ্গে একাধিক বার বৈঠক করলেও পঞ্চায়েতকে ডাকা হচ্ছে না। তাই পঞ্চায়েত কোনও ভূমিকা নিচ্ছে না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন