রসুলপুরের পরে মন্তেশ্বর

পরপর পাঁচ মন্দিরে চুরি একই রাতে 

শীত পড়তেই আবার একের পর এক মন্দিরে চুরি। রসুলপুরের পরে এ বার মন্তেশ্বরে পরপর চুরি হল মন্দিরে। শুক্রবার রাতে মাঝেরগ্রামে পাঁচটি মন্দির থেকে গয়না, প্রণামীর বাক্সে রাখা টাকা-সহ নানা জিনিসপত্র লুট হয়েছে বলে অভিযোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মন্তেশ্বর শেষ আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০১৮ ০১:৪৭
Share:

চুরি হয়েছে মাঝেরগ্রামের এই মন্দিরে। নিজস্ব চিত্র

শীত পড়তেই আবার একের পর এক মন্দিরে চুরি। রসুলপুরের পরে এ বার মন্তেশ্বরে পরপর চুরি হল মন্দিরে। শুক্রবার রাতে মাঝেরগ্রামে পাঁচটি মন্দির থেকে গয়না, প্রণামীর বাক্সে রাখা টাকা-সহ নানা জিনিসপত্র লুট হয়েছে বলে অভিযোগ।

Advertisement

গত বছর শীতে পূর্বস্থলী ২ ব্লকে বাইরে থেকে বাড়ির শিকল তুলে বেশ কিছু মন্দিরে লুটপাট চালায় দুষ্কৃতীরা। সেই সব ঘটনার বেশিরভাগেরই কোনও কিনারা হয়নি। শুক্রবার রাতে মন্তেশ্বরেও একই কায়দায় চুরি হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রামকৃষ্ণ মহাভব মন্দিরের একটি ঘরে থাকেন দুর্গাচরণ মহারাজ। রাত ১২টা নাগাদ মন্দিরের দরজার তালা ভাঙা শুরু করে দুষ্কৃতীরা। ঘুম ভেঙে যায় দুর্গাচরণের। তিনি দেখেন, তাঁর ঘরের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ। সিভিক ভলান্টিয়ার-সহ বেশ কয়েকজনকে ফোন করেন তিনি। তবে তাঁরা আসার আগেই দুষ্কৃতীরা মন্দিরের প্রণামীর বাক্স নিয়ে চম্পট দেয় বলে অভিযোগ।

শুধু ওই মন্দির নয়, সে রাতে গ্রামের বড় মা কালী মন্দির, বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের শ্রীধর মন্দির, রাধাকান্ত মন্দির ও বনগ্রাম পরমানন্দ মিশনের এক মহারাজের বাড়ির কালীমন্দিরে চুরি হয়। বাসিন্দাদের দাবি, রাত আড়াইটে পর্যন্ত লুটপাট চালায় দুষ্কৃতীরা। কোথাও দেওয়াল ফুটো করে, কোথাও গেটের তালা ভেঙে নানা জিনিসপত্র নিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। প্রমাণ লোপাটের জন্য একটি মন্দিরে সিসিটিভি ভেঙে দেয় তারা। এলাকা থেকে পালানোর আগে দুষ্কৃতীরা প্রণামীর একটি বাক্স থেকে টাকাপয়সা নিয়ে সেটি পুকুরের পাড়ে ফেলে দিয়ে যায়। পরামনন্দ মিশনের কিষাণ মহারাজ শনিবার বলেন, ‘‘পুলিশকে সবই জানানো হয়েছে। ভক্তদের দেওয়া নানা গয়না ছিল প্রতিমার গলায়। সব খুলে নিয়ে গেছে দুষ্কৃতীরা। আমরা চাই, চুরির কিনারা করুক পুলিশ।’’

Advertisement

শীতে মন্তেশ্বর এলাকার মন্দিরে চুরি অবশ্য এই প্রথম নয়। বছর তিনেক আগে প্রায় ৩৫টি মন্দিরে তালা ভেঙে লুট করে দুষ্কৃতীরা। এমনকি, সেই সময় থানা লাগোয়া একটি মন্দির থেকেও চুরি করেছিল তারা। তার জেরে এলাকা জুড়ে ক্ষোভ তৈরি হয়। দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের দাবিতে এলাকার ব্যবসায়ীরা পথ অবরোধও করেছিলেন।

আবার মন্দিরে চুরির ঘটনায় তাঁরা আতঙ্কিত বলে জানান এলাকার বাসিন্দারা। গোপাল ঘোষ নামে এক বাসিন্দার কথায়, ‘‘পাঁচ-পাঁচটি মন্দিরে চুরি হয়ে গেল! বোঝাই যাচ্ছে, দুষ্কৃতীরা পরিকল্পনা করেই এসেছিল। এখনই যদি পুলিশ দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার না করতে পারে তাহলে এমন ঘটনা আরও ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে।’’

পুলিশ জানায়, দুষ্কৃতীদের ফেলে যাওয়া একটি গামছা উদ্ধার হয়েছে। বেশ কিছু তথ্য মিলেছে। গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন