সিঁদ কাটা হয়েছে এই দেওয়ালে। —নিজস্ব চিত্র।
প্রথমে এটিএমে ভাঙচুরের চেষ্টা, তারপর গয়নার দোকানে সিঁদ কেটে লুঠ— কিলোমিটার খানেকের ব্যবধানে জোড়া ঘটনা ঘটল কালনা ১ ব্লকের বাঘনাপাড়ায়। মঙ্গলবার রাতের ওই ঘটনায় এটিএম থেকে কিছু খোওয়া না গেলেও ওই গয়না ব্যবসায়ীর দাবি, বেশ কিছু সোনা ও রুপোর গয়না নিয়ে চম্পট দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, একটি দলই দুটি ঘটনা ঘটিয়েছে।
বাঘনাপাড়ায় জমজমাট দোকান-বাজার রয়েছে। একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখাও রয়েছে। বছর চারেক আগে একটি ভাড়া বাড়িতে এটিএম কাউন্টারও খোলে ওই ব্যাঙ্ক। বুধবার সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা দেখেন, ঘরের দরজা ভাঙা। ভাঙচুর চালানো হয়েছে এটিএমের মেশিন, সিসিটিভি ক্যামেরায়। পরে ব্যাঙ্কের আধিকারিকেরা এসে দেখেন, এটিএমের ভল্ট ভাঙতে পারেনি দুষ্কৃতীরা। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, বাজারে মাঝরাত পর্যন্ত লোকের যাতায়াত থাকে। ভোর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বলেও তাঁদের অনুমান। এটিএম ভাঙতে না পেরে কিলোমিটার খানেক দুরে আকন্দপুকুর এলাকায় সাজাহান শেখের গয়না তৈরির দোকানে ঢোকে দুষ্কৃতীরা। দোকানের সাটার ভেঙে এবং দেওয়াল কেটে বেশ কিছু সোনা রুপোর গয়না চুরি করে তারা। পুলিশকে দোকানের মালিক জানিয়েছেন, একটি ড্রয়ারে থাকা ২০ গ্রাম সোনা এবং ৫০০ গ্রাম রুপোর গয়না দুষ্কৃতীরা নিয়ে গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের সন্দেহ, জোড়া ঘটনা ঘটানোর পরে মেমারি-কালনা রোড ধরে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা।
তবে একই রাতে দুটি দুষ্কর্মের ঘটনায় চিন্তিত এলাকার ব্যবসায়ী এবং স্থানীয় বাসিন্দারা। আকন্দপুকুরের ব্যবসায়ী খোকন মল্লিকের দাবি, ‘‘দীর্ঘদিন এলাকায় দুষ্কৃতীদের দাপাদাপি ছিল না। কিন্তু এই দুটি ঘটনায় আমরা চিন্তিত। নিরাপত্তার অভাব বোধ করছি।’’ পুলিশের কাছে দ্রুত দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। কালনা থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের কাছে ওই এটিএমের সিসিটিভির ফুটেজ চাওয়া হয়েছে। তা ধরেই তদন্তের কাজ শুরু করা হবে।