ফের প্রশ্নে ভুল, ক্ষুব্ধ বর্ধমানের ছাত্রছাত্রীরা

ফের প্রশ্নপত্রে ভুল! এ বার বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য শাখার পার্ট ৩-এর প্রশ্নপত্রে দেখা গেল, যত নম্বরে পরীক্ষা হওয়ার কথা রয়েছে তাঁর অনেক বেশি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ২৮ মার্চ ২০১৭ ২৩:০১
Share:

ফের প্রশ্নপত্রে ভুল!

Advertisement

এ বার বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য শাখার পার্ট ৩-এর প্রশ্নপত্রে দেখা গেল, যত নম্বরে পরীক্ষা হওয়ার কথা রয়েছে তাঁর অনেক বেশি।

সোমবার ওই পরীক্ষার দুটি পত্রেই নম্বরের গোলমাল ধরা পড়ার পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ামক দফতর এসএমএস ও ই-মেল করে পরীক্ষাকেন্দ্রে নতুন নির্দেশিকা পাঠান। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিমাই সাহা এ ব্যাপারে কড়া পদক্ষেপ করার আশ্বাস দিয়েছেন।

Advertisement

গত মাসেই আইন ও সংস্কৃত পরীক্ষায় প্রশ্নপত্রে ছাপার ভুল থাকায় পরীক্ষা বাতিল করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গত সপ্তাহে পরিবেশ বিজ্ঞানের দু’ঘন্টা পরীক্ষার জায়গায় সময় দেওয়া হয়েছিল তিন ঘন্টা। এ বার বাণিজ্য বিভাগের পার্ট ৩-এর পাস কোর্সের পরীক্ষায় গোলমাল ধরা পড়ল। এ দিন নতুন সিলেবাসের পরীক্ষার্থীরা ‘কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন ইন বিজনেস’ বিষয়ে পরীক্ষা দেন। আর পুরনো সিলেবাসের পরীক্ষার্থীদের বিষয় ছিল ‘অ্যাডভান্স অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড অডিটিং’। পরীক্ষা শুরু হওয়ার আধ ঘন্টার মধ্যেই ওই দুটি সিলেবাসের প্রশ্নপত্রে গোলমাল ধরে পরীক্ষার্থীরা চিৎকার শুরু করে দেন। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বাণিজ্য বিভাগের পার্ট ৩-এর গ্রুপ চারের দু’নম্বর পেপারের নতুন সিলেবাসের প্রশ্ন থাকার কথা ৬০ নম্বরের। সেখানে প্রশ্ন রয়েছে ৯০ নম্বরের। আবার পুরনো সিলেবাসের ১০০ নম্বরের প্রশ্নপত্রে ‘ফুল মার্কস’ হল ৬০ নম্বর! এরপরেই চার হাজার পরীক্ষার্থীর মধ্যে চরম বিভ্রান্তি ছড়িয়ে পড়ে। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি কলেজে পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে নিমরাজি হন। ওই সব পরীক্ষাকেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ামক দফতরে যোগযোগ করেন। নিয়ামক দফতর বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষককে ডেকে প্রশ্নপত্রে কী ভুল খুঁজে বের করে নতুন করে নির্দেশিকা পাঠায় কলেজে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্তা বলেন, “পরীক্ষা নিয়ামক দফতরের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব থাকছে, সে জন্যই বারবার প্রশ্নপত্র নিয়ে ভুল ধরা পড়ছে। কেউ তাঁদের দায়িত্ব অস্বীকার করতে পারেন না।”

তবে ভুলের দায়িত্ব নিতে চাননি পরীক্ষা নিয়ামক রাজীব মুখোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, “পরীক্ষা নিয়ামক দফতর প্রশ্ন তৈরি করে না। আমাদের প্রশ্ন দেখারও অধিকার নেই। যাঁরা প্রশ্ন তৈরি করেন, তাঁদেরই ভুল।” বাণিজ্য শাখার প্রধান শান্তনু ঘোষকে ফোন করে বা এসএমএসের জবাব মেলেনি।

এসএফআইয়ের জেলা সম্পাদক দীপঙ্কর দে-র অভিযোগ, “পরীক্ষা নিয়ামক দফতর অজ্ঞতায় ভরে গিয়েছে। তার ফল ভুগতে হচ্ছে পরীক্ষার্থীদের।” টিএমসিপি নেতারাও মনে করেন, পরীক্ষা নিয়ামক দফতরে খোলনালচে বদলানো প্রয়োজন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন