নিয়োগপত্রের দাবি, বিধায়ক অবস্থান-মঞ্চে

বিসিসিএলের দামাগড়িয়া চাপতোড়িয়া খনি থেকে কয়লা তোলার জন্য স্থানীয় বড়িরা গ্রামের প্রায় ১৩৩ জন বাসিন্দার জমি অধিগ্রহণ করা হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বরাকর শেষ আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০১:২৯
Share:

বরাকরের মঞ্চে। নিজস্ব চিত্র

রাষ্ট্রায়ত্ত কয়লা উত্তোলক সংস্থা বিসিসিএলের চাঁচ ভিক্টোরিয়া এরিয়ার দামাগড়িয়া চাপতোড়িয়া খনিতে চাকরির দাবিতে ধর্না চালিয়ে যাচ্ছেন জমিদাতারা। মঙ্গলবার এই কর্মসূচি পাঁচ দিনে পড়েছে। এ দিন ধর্নামঞ্চে এসে আন্দোলনকারীদের পাশে থাকার বার্তা দেন কুলটির বিধায়ক উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়। তিনি খনি কর্তৃপক্ষের কাছে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সমস্যা মেটানোর দাবি জানিয়েছেন। কর্তৃপক্ষের তরফে দ্রুত সুরাহার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

বিসিসিএলের দামাগড়িয়া চাপতোড়িয়া খনি থেকে কয়লা তোলার জন্য স্থানীয় বড়িরা গ্রামের প্রায় ১৩৩ জন বাসিন্দার জমি অধিগ্রহণ করা হয়। বিসিসিএল সূত্রে জানা যায়, সেখানে প্রায় ১৩৫ মিলিয়ন টন কয়লা মজুত রয়েছে। বছর চারেক আগে খননের কাজ শুরু করে বিসিসিএল। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে, চাকরি ও জমির ন্যায্যমূল্যের আশ্বাসে যাঁদের জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে, তাঁদের অনেকেই এখনও চাকরি পাননি। অবিলম্বে নিয়োগপত্রের দাবিতে ২২ জন জমিদাতা পাঁচ দিন ধরে চাঁচ ভিক্টোরিয়া এরিয়ার বরাকর কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন।

জমিদাতাদের পাশে দাঁড়াতে মঙ্গলবার সেই মঞ্চে আসেন তৃণমূল বিধায়ক উজ্জ্বলবাবু। সঙ্গে ছিলেন তৃণমূলের কুলটি ব্লক সভাপতি মহেশ্বর মুখোপাধ্যায়। উজ্জ্বলবাবু অভিযোগ করেন, এর আগেও এই জমিদাতারা ন্যায্য পাওনা চেয়ে অবস্থান-বিক্ষোভ করেছেন। কিন্তু বিসিসিএল কর্তৃপক্ষ কর্ণপাত করেননি। বিধায়কের হুঁশিয়ারি, ‘‘কোলিয়ারি কর্তৃপক্ষকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে জমিদাতাদের নিয়োগপত্র দেওয়ার দাবি জানিয়েছি।’’ তিনি আরও অভিযোগ করেন, কোলিয়ারির শ্রমিক-কর্মীদের অনেককে অন্যায় ভাবে অন্যত্র বদলি করা হচ্ছে। সেই বদলি রদ করার দাবি তুলেছেন তিনি। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি মহেশ্বরবাবুরও হুঁশিয়ারি, ‘‘বিধায়কের দেওয়া সময়সীমার মধ্যে কোলিয়ারি কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা না নিলে আন্দোলন শুরু হবে। তাতে উৎপাদন ব্যাহত হলে খনি কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবেন।’’

Advertisement

খনির জন্য

• কোথায়: দামাগড়িয়া, চাপতোড়িয়া
• জমিদাতা: ১৩৩ জন
• কয়লা মজুত: ১৩৫ মিলিয়ন টন
• ধর্নায়: ২২ জন জমিদাতা

চাঁচ ভিক্টোরিয়া এরিয়ার জিএম সিদ্ধার্থশঙ্কর দাস বলেন, ‘‘বিধায়কের সঙ্গে সন্তোষজনক আলোচনা হয়েছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’’ তিনি জানান, ওই ২২ জনের মধ্যে সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী ১২ জনকে নিয়োগপত্র দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। বাকি ১০ জনের জমি এখনও রেজিষ্ট্রি হয়নি। দ্রুত তা করার পরে পরবর্তী প্রক্রিয়া শুরু হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন