Murder

Murder: মায়ের মাথা মেঝেয় ঠুকে ঠুকে খুন করল মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলে! দেহ আগলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা

পুলিশের প্রাথমিক ভাবে সন্দেহ, সোমবার গভীর রাতে মা মণি পালের মাথা ঘরের মেঝেয় ঠুকে ঠুকে থেঁতলে খুন করেন ছেলে অমর পাল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ১৪ জুন ২০২২ ১৫:১৩
Share:

মাকে খুনের অভিযোগ ছেলের বিরুদ্ধে। প্রতীকী চিত্র।

মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলের হাতে খুন হলেন মা। খুন করে দেহ আগলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে রইলেন ছেলে। এই ঘটনা পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রাম থানার ধনকুড়া গ্রামের। মঙ্গলবার সকালে বাড়ি থেকে মণি পাল (৪২) নামে ওই মহিলার রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মায়ের মৃতদেহের পাশে তখনও বসে ছিলেন ছেলে অমর পাল (২০)। তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

ধনকুড়া গ্রামের বাসিন্দা পরিমল পাল এবং মণির এক মাত্র সন্তান অমর। পরিমল রাঁধুনির কাজ করেন। দিন কয়েক আগে তিনি পর্যটকদের একটি দলের সঙ্গে রান্নার কাজে ভিন্‌রাজ্যে যান। বাড়িতে ছেলেকে নিয়ে ছিলেন মণি। আগে গ্রামের মধ্যে থাকতেন পরিমলবাবুরা। কিন্তু বছর খানেক আগে গ্রামের ধারে মাঠের কাছাকাছি বাড়ি করে বসবাস শুরু করেন। মঙ্গলবার কয়েক জন কৃষক মাঠে যাওয়ার সময় দেখতে পান ঘরের মেঝেতে পড়ে রয়েছে মণির রক্তাক্ত দেহ। পাশে বসে রয়েছেন অমর। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা গ্রামের অন্যদের বিষয়টি জানান। তার পর পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। ছোড়া ফাঁড়ির পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে।

স্থানীয়দের সূত্রে জানা গিয়েছে, অমর সপ্তম শ্রেণিতে পড়ার সময় তাঁর মানসিক সমস্যা দেখা দেয়। তার পর থেকে তিনি আর পড়াশোনা করেননি। জানা গিয়েছে, এর আগেও অমর তাঁর মাকে মারধর করেছিলেন। বছর দেড়েক আগে মণিকে বঁটি দিয়ে তিনি কোপান বলে অভিযোগ। তখন তিনি আহত হলেও প্রাণে বেঁচে যান। তবে এ বার তাঁর মৃত্যু হল। পুলিশের প্রাথমিক ভাবে সন্দেহ, সোমবার গভীর রাতে মণির মাথা ঘরের মেঝেয় ঠুকে ঠুকে থেঁতলে খুন করেন অমর।

Advertisement

(গুরুতর অপরাধে অভিযুক্তকে ‘আপনি’ সম্বোধনে আপত্তি প্রকাশ করেন কেউ কেউ। কিন্তু আইনের বিচারে দোষী সাব্যস্ত হননি, এমন অভিযুক্তকে ‘আপনি’ সম্বোধনেরই পক্ষপাতী আনন্দবাজার অনলাইন)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন