ভোট প্রচার শুরু দুর্গাপুরে

তৃণমূল সূত্রে খবর, এখনও প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত হয়নি। তবে বৃহস্পতিবারই জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব বৈঠক করে সব ওয়ার্ডে প্রচার শুরুর নির্দেশ দেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ২৪ জুন ২০১৭ ০২:৪৮
Share:

জন-সংযোগ: শুক্রবার তৃণমূল ও সিপিএমের প্রচার। নিজস্ব চিত্র।

দিনক্ষণ ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। বিভিন্ন দলের অন্দরে রয়েছে কিছু সংশয়ও। কিন্তু সে সব দূরে সরিয়ে এ বার পালা, একে অপরকে প্রচারে টেক্কা দেওয়ার। আর তা করতে শুক্রবার থেকেই দুর্গাপুরে পুরভোটের প্রচারে নেমে পড়ল তৃণমূল ও সিপিএম।

Advertisement

তৃণমূল সূত্রে খবর, এখনও প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত হয়নি। তবে বৃহস্পতিবারই জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব বৈঠক করে সব ওয়ার্ডে প্রচার শুরুর নির্দেশ দেন। সেই মতো এ দিন সকালে ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডে সঙ্গীদের নিয়ে দেওয়াল লিখতে বেরিয়ে পড়েন তৃণমূল কাউন্সিলর অরবিন্দ নন্দী। দল আগের বার প্রার্থী না করায় নির্দল হয়ে দাঁড়িয়ে জিতেছিলেন অরবিন্দবাবু। পরে অবশ্য ফের যোগ দেন তৃণমূলে। এ বারও দল টিকিট না দিলে তেমনটা হবে না তো, সংশয়ে তৃণমূল কর্মীদের একাংশই। তবে অরবিন্দবাবুর জবাব, ‘‘দিন রাত মানুষের জন্য কাজ করি। দল সব নজর রাখে।’’ তৃণমূল সূত্রে খবর, মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস সম্প্রতি দুর্গাপুরে এসে সব ওয়ার্ডে ব্যানার টাঙিয়ে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজকর্মের বিষয়ে প্রচার চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

প্রচারের প্রথম রাউন্ডে তাল ঠুকেছে সিপিএম-ও। দীর্ঘ দিন ধরেই তারা শহরের বেহাল পরিষেবা ও নির্দিষ্ট সময়ে পুরভোট করার দাবিতে কর্মসূচি নিয়েছে। শুক্রবারও বরো কার্যালয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি, সগড়ভাঙা কলোনি থেকে মিছিল করে প্রচার সারে সিপিএম। দু’ক্ষেত্রেই তৃণমূল পরিচালিত পুরবোর্ডের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করে তারা।

Advertisement

তবে প্রচারের শুরুতে কাঁটাও রয়েছে। সম্প্রতি তিন জন বাম কাউন্সিলর তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। গত বিধানসভা নির্বাচনের মতো কংগ্রেসের সঙ্গে জোট হবে কি না, তা নিয়েও ধোঁয়াশা রয়েছে বলে দাবি সিপিএমের অন্দরেই। এই দুই ‘ফ্যাক্টর’ ভোটে প্রভাব ফেলবে কি না, তা নিয়ে সংশয়ে শহরের রাজনৈতির মহলের একাংশ। তবে দুর্গাপুর ২ পূর্ব জোনাল কমিটির সম্পাদক পঙ্কজ রায় সরকারের দাবি, ‘‘এক পশলা বৃষ্টিতে শহর জলমগ্ন হয়ে যাচ্ছে। পাঁচ বছরে শহরের উন্নয়ন থমকে গিয়েছে। মানুষ তৃণমূল বোর্ডকে উৎখাত করবেনই।’’ তবে এ দিন কংগ্রেস বা বিজেপি, কোনও পক্ষকে ময়দানে দেখা যায়নি।

তবে প্রচারে কিছু সতর্কতাও নিচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলি। যেমন, তৃণমূলের জেলা সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায় জানান, কর্মীদের বলা হয়েছে, দেওয়াল লিখনের আগে যেন অবশ্যই বাড়ির মালিকের অনুমতি নেওয়া হয়। রাজ্যের ছয় পুরসভার সঙ্গে দুর্গাপুরেই আগামী ৬ অগস্ট ভোট করানোর জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে প্রস্তাব দিয়েছে রাজ্য সরকার। দেড় মাস আগে থেকেই শুক্রবার সেই ভোটেরই তাল ঠোকা শুরু হয়ে গেল মনে করছেন দুর্গাপুরবাসী।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন