পড়ে ইটের টুকরো। —নিজস্ব চিত্র ।
সন্ধ্যা নামলেই কুলটির লালাবাজার গ্রামের তাঁতি পাড়ায় শুরু হয়ে যাচ্ছে ইটবৃষ্টি। ইটের ঘায়ে কেউ আহত হচ্ছেন। আবার কেউ অল্পের জন্য রক্ষা পাচ্ছেন। প্রায় এক মাস ধরে চলছে এই উপদ্রব। গ্রামবাসীরা বুঝে উঠতে পারছেন না কে বা কারা এই কাণ্ড ঘটাচ্ছেন। পুলিশকেও তাঁরা বিষয়টি জানিয়েছেন। পুলিশের দাবি, এলাকায় টহল বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু কোনও হদিস পাওয়া যাচ্ছে না।
বুধবার দুপুরে তাঁদের এই সমস্যার কথা জানাতে গিয়ে উত্তেজনায় ফুটছিলেন বাসিন্দারা। রতন নন্দী জানালেন, সন্ধ্যা নামতে না নামতেই ধুপ-ধাপ ইট পড়তে শুরু করে। কখনও আধলা ইট আবার কখনও ছোট ছোট পাথর। এ দিন এলাকায় গিয়ে অনেকের বাড়িতেই দেখা গেল, মেঝেতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে ভাঙা ইট। বাড়ির দেওয়ালে ইটের দাগ। ইটের আঘাতে অনেক বাড়ির আসবাবও ভেঙে গিয়েছে। বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলার মাঝেই পরিচয় হল ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী সীমা নন্দীর সঙ্গে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তার বাঁ পায়ের হাঁটুর নীচে ইটের আঘাত লাগে। আঘাত গুরুতর নয়। আতঙ্কিত বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সন্ধ্যার পরে বাড়ির বাইরে পা রাখতে ভয় পাচ্ছেন। গত কয়েকদিন ধরে তাঁরা দল বেঁধে পাহারা দিচ্ছেন। কিন্তু কোনও হদিস মিলছে না। পুলিশের দ্বারস্থও হয়েছেন। কিন্তু এতেও লাভ হয়নি।