আসানসোলে অনুষ্ঠানে প্রবীণ কর্নেল অমরবাহাদুর সিংহ। ছবি: শৈলেন সরকার।
ছৌ, ঘোড়ানাচ থেকে আঁকা প্রতিযোগিতা—নানা অনুষ্ঠানে পালিত হল সুভাষচন্দ্র বসুর ১২১ তম জন্মজয়ন্তী।
এ দিন আসানসোল রবীন্দ্রভবন প্রাঙ্গণে পুরনিগম নির্মিত সুভাষচন্দ্রের স্মারক-সৌধের উদ্বোধন করেন কর্নেল অমরবাহাদুর সিংহ। এই উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে এসে মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি ২০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে আসানসোলে সুভাষচন্দ্র বসুর মিউজিয়াম চালু করার কথা জানান। এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন স্মারক-সৌধের উদ্বোধক কর্নেল অমর বাহাদুর। অনুষ্ঠান শুরুর আগে দশটি স্কুল, কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, এনসিসি-র সদস্যেরা পুরনো আশ্রমমোড় থেকে মিছিল করে রবীন্দ্রভবন প্রাঙ্গণে জড়ো হন। সেখানে ছৌ, ঘোড়ানাচের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ঢাক বাজান শিল্পীরা। ছিলেন এডিডিএ-এর চেয়ারম্যান তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়। আসানসোলের রামসায়র মাঠে সুভাষ সমিতির উদ্যোগে এ দিন থেকে চার দিনের সুভাষ মেলা শুরু হল।
জন্মজয়ন্তীতে রানিগঞ্জ সিটিজেন্স ফোরাম ও রানিগঞ্জ শিক্ষাসংস্কৃতি মঞ্চের উদ্যোগে প্রভাতফেরি হয়। নেতাজি মূর্তির পাদদেশে এক অনুষ্ঠানে দুঃস্থ পড়ুয়াদের বই-খাতা তুলে দেওয়া হয়। ভারতকলা কেন্দ্রের রানিগঞ্জ শাখার উদ্যোগে আঁকা প্রতিযোগিতায় ৩৫ জনকে পুরস্কৃত করা হয়। রানিগঞ্জ বরো অফিসেও জন্মদিবস পালিত হয়। আসানসোল বিএনআর ক্লাবে সঙ্গীত পরিবেশন করেন সঞ্জীবন বন্দ্যোপাধ্যায়।
দুর্গাপুরের কালজয়ী পত্রিকার পক্ষ থেকে নানা অনুষ্ঠান হয়। দেশাত্মবোধক গান, সুভাষচন্দ্রের বর্ণময় জীবন নিয়ে সভা হয়। বুদবুদের মাড়ো নেতাজি সুভাষ লোকশিল্পী অ্যাকাডেমির পরিচালনায় মাড়ো রুইদাস পাড়া থেকে ৩০টি ঢাক নিয়ে প্রভাতফেরি বের হয়। নেহরু যুবকেন্দ্র থেকে গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ইয়ুথ পার্লামেন্টের আয়োজন করা হয়। এ দিনের অনুষ্ঠানে ছিলেন সাংসদ সুনীলকুমার মণ্ডল। উদ্যোক্তাদের পক্ষে সঞ্জয় রুইদাস জানান, আশপাশের গ্রাম থেকেও বহু মানুষ প্রভাতফেরিতে পা মেলান।