কুইজ়, আঁকার মঞ্চে কন্যাশ্রীরা

পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তবের কথায়, “কন্যাশ্রীদের দক্ষতা বাড়ানোর লক্ষ্যে একাধিক উদ্যোগ হয়েছে। এমন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে স্কুলছাত্রীরা অনুভব করতে পারবে, কোথায় তাদের খামতি রয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বর্ধমান শেষ আপডেট: ২১ জুলাই ২০১৮ ০৪:১৪
Share:

আঁকায় ব্যস্ত ছাত্রী।ছবি: কাজল মির্জা

কন্যশ্রীদের স্বনির্ভর করতে একাধিক উদ্যোগ রয়েছে জেলা প্রশাসনের। এমনকি আত্মরক্ষার জন্যে পাঠ দেওয়া হচ্ছে কন্যাশ্রীদের। সেই কন্যাশ্রীদের দক্ষতা বাড়াতে শনিবার বর্ধমান সংস্কৃতি লোকমঞ্চে কন্যাশ্রী প্রকল্পের উদ্যোগে এবং আনন্দবাজার পত্রিকার সহযোগিতায় হয়ে গেল কুইজ় প্রতিযোগিতা ‘আনন্দে শেখা’। একই সঙ্গে বর্ধমান আদর্শ হাইস্কুলে অনুষ্ঠিত হল অঙ্কন প্রতিযোগিতা। আঁকার বিষয় ছিল ‘স্বপ্ন আমার’।

Advertisement

পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তবের কথায়, “কন্যাশ্রীদের দক্ষতা বাড়ানোর লক্ষ্যে একাধিক উদ্যোগ হয়েছে। এমন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে স্কুলছাত্রীরা অনুভব করতে পারবে, কোথায় তাদের খামতি রয়েছে। সামনে এগোতে আরও কী প্রয়োজন। এই প্রতিযোগিতা আগামী দিনে জেলায় টানা করা হবে।”

মঞ্চে আর এক পড়ুয়া।ছবি: কাজল মির্জা

Advertisement

এ দিন জেলার ১৫০টি স্কুলের ৭৫০ জন ছাত্রী কুইজ় প্রতিযোগিতায় যোগ দেয়। প্রশ্নপত্র তৈরি হয়েছিল আনন্দবাজারের স্কুল সংস্করণকে ভিত্তি করে। অঙ্কনে যোগ দেয় ৩০০ পড়ুয়া। কুইজ় প্রতিযোগিতা পরিচালনা করেন জেলা সর্বশিক্ষা প্রকল্পের আধিকারিক শারদ্বতী চৌধুরী। জেলাশাসক ছাড়াও এ দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি দেবু টুডু, অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রবীর চট্টোপাধ্যায়, মহকুমাশাসক (বর্ধমান দক্ষিণ) অনির্বাণ কোলে। দুই প্রতিযোগিতায় যোগ দেওয়া পড়ুয়াদের মধ্যে উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। অভিভাবকদের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মত। জেলার বিভিন্ন স্কুল থেকে আসা শিক্ষক-শিক্ষিকারা জানান, এমন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ভীতি কাটবে পড়ুয়াদের। শারদ্বতীদেবী বলেন, ‘‘স্কুলগুলি থেকে জানতে পেরেছি, এই ইভেন্টের জন্য প্রত্যেক প্রতিযোগী গত কয়েক দিন ধরেই প্রস্তুতি নিয়েছে।’’

কুইজ় প্রতিযোগিতায় প্রত্যেক প্রতিযোগীকে প্রশ্নপত্র দিয়ে তাতে উত্তর লিখতে বলা হয়। সেই প্রশ্নপত্র পরীক্ষা করে বাছাই করে নেওয়া হয় ২০ জনকে। তারাই চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় যোগদান করে। লটারির মাধ্যমে দু’জন করে দশটি টিম তৈরি করা হয়। কুইজ় মাস্টার ছিলেন তিথলি বসু। চার রাউন্ডের লড়াইয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় বি টিমের কায়নাত ইয়াসমিন ও সুজাতা শীল। কায়নাত বর্ধমান মহারাণী আধিরাণী উচ্চ বিদ্যালয়ের পড়ুয়া। সুজাতা পড়ে বেলুন মোহিনীমোহন বিদ্যালয়ে। দ্বিতীয় স্থান দখল করে, রসুলপুরের ভূবনমোহন উচ্চ বিদ্যালয়ের ঐন্দ্রিলা মণ্ডল ও কুকুরা অনিবালা হাইস্কুলের বৃষ্টি বেতাল। প্রতিযোগিতা শেষে কায়নাত, সুজাতারা বলে, “একবারে অন্য অভিজ্ঞতা। শুধু নিজের যোগ্যতা যাচাই নয়। এখান থেকে অনেক কিছু জানতে পারলাম, যা ভবিষ্যতে আমাদের কাজে লাগবে।”

এ দিন প্রতিযোগিতার মাঝে বর্ধমান পশ্চিম চক্রের স্কুল শিক্ষিকারা নাচ, গান-সহ একাধিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন। মঞ্চে যোগা প্রদর্শন করেন আন্তর্জাতিক স্তরে পুরস্কার পাপ্ত অদ্রিজা সরকার ও কেয়া চৌধুরী। অঙ্কন প্রতিযোগিতায় প্রথম হয় বর্ধমান কাঞ্চননগর ডিএন দাস হাইস্কুলের সঞ্জনা কর্মকার, দ্বিতীয় নিবেদিতা কন্যা বালিকা বিদ্যালয় ছাত্রী আয়েশা সুলতানা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন