জৈব সারে হবে গোবিন্দভোগ, জোর কর্মশালায়

জৈব সার দিয়ে গোবিন্দভোগ চাষ করবে বর্ধমান জেলা কৃষি দফতর। জেলার সাতটি জায়গায় ৫০ একর জমিতে কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি বিকাশ যোজনায় এই চাষ করা হবে। জৈব চাষের উপকারিতা বোঝাতেই এই উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন জেলার কৃষি আধিকারিকেরা।

Advertisement

বিপ্লব ভট্টাচার্য

শেষ আপডেট: ০৭ জুলাই ২০১৬ ০০:৪৮
Share:

জৈব সার দিয়ে গোবিন্দভোগ চাষ করবে বর্ধমান জেলা কৃষি দফতর। জেলার সাতটি জায়গায় ৫০ একর জমিতে কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি বিকাশ যোজনায় এই চাষ করা হবে। জৈব চাষের উপকারিতা বোঝাতেই এই উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন জেলার কৃষি আধিকারিকেরা।

Advertisement

এর আগে ব্যক্তিগত উদ্যোগে অল্পবিস্তর জমিতে জৈব সার ব্যবহার করে গোবিন্দভোগ চাষ হয়েছে। সে কথা মেনে নিয়ে জেলা সহ কৃষি অধিকর্তা (শস্য সুরক্ষা) সুপ্রিয় ঘটকের দাবি, ‘‘কৃষি দফতরের উদ্যোগে এ বারই প্রথম জৈব চাষে গোবিন্দভোগ চাষ করা হবে।’’

জৈব সারে চাষের জন্যে কৃষি দফতর বরাবরই উৎসাহিত করে এসেছে। অনেক জায়গায় সে ভাবে ধান-সহ নানা ধরণের খাদ্যশস্য চাষও করা হচ্ছে। কিন্তু বর্ধমানে সে ভাবে জৈব সার ব্যবহার জনপ্রিয়তা পায়নি। গোবিন্দভোগ চাষের পরিকল্পনা সে দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ। দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার আউশগ্রাম ১ ও ২, রায়না ১ ও ২, কালনা ২, কাটোয়া ২ ও কাঁকসা ক্লাস্টারে এই চাষ করা হবে। কাঁকসা ব্লক সহ কৃষি অধিকর্তা অনির্বাণ বিশ্বাস জানিয়েছেন, যাবতীয় প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে।

Advertisement

বস্তুত, জৈব চাষ প্রসারে গুরুত্ব দিচ্ছে কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রকও। এ জন্য সম্প্রতি কেন্দ্রীয় বাজেটে ৪১২ কোটি টাকা বরাদ্দও করা হয়েছে। আগামী তিন বছরের মধ্যে দেশের প্রায় ৫ লক্ষ একর জমি জৈব চাষের আওতায় আনার কথা ঘোষণা করা হয়েছে বাজেটে। এক কথায়, জৈব চাষে লক্ষ্মীলাভ এমন জনমত চাষিদের মধ্যে তৈরি করতে চাইছে কৃষি দফতর।

বর্ধমান জেলা কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বিভিন্ন ধরণের জৈব সার যেমন জীবাণু সার, কেঁচো সার, তরল জীবাণু সার, পঞ্চগব্য, জীবামৃত তৈরি করতে দফতর থেকে নানা প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ চলছে। সেগুলি কী ভাবে তৈরি করতে হবে, জমিতে তা কতটা পরিমাণে ব্যবহার করতে হবে তা-ও চাষিদের শেখানো হবে। কৃষি দফতরের এক কর্তার মত, বছরের পর বছর ধরে জমিতে রাসায়নিক ব্যবহারের ফলে জমির উর্বরতা অনেকটাই কমে যায়। তবে প্রথমবার জৈব সার দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই জমির উর্বরতা বৃদ্ধি পায় না। কম করে তিন বছর জৈব সারে চাষ করলে জমির উর্বরতা বাড়ে। কাজেই একবার চাষ করে জৈব সার ব্যবহার বন্ধ যাতে না হয়, সে দিকেও নজর রাখছে কৃষি দফতর। দফতর সূত্রে আরও জানানো হয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদিয়ার মতো জেলায় জৈব সারে চাষ করে বহু মানুষ উপকৃত হয়েছেন। জেলার উৎপাদিত চাল প্রথমে সার্টিফিকেটের জন্য পাঠানো হবে। শংসাপত্র পাওয়ার পর সেই চাল আলাদা করে প্যাকেট বন্দি করা হবে। যা কলকাতা বা অন্য জায়গা থেকে বিভিন্ন সংস্থা কিনে নেবে। গোটা পর্বে চাষিদের নানা ভাবে সাহায্য করবে জেলা কৃষি দফতর।

জেলা সহ কৃষি অধিকর্তা (শস্য সুরক্ষা) সুপ্রিয় ঘটক জানান, জৈব সারের ব্যবহার বাড়ানোর লক্ষ্যে দফতর নানা পদক্ষেপ করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষকে জৈব সারের চাষে উৎসাহিত করতে জেলায় একাধিক কর্মশালাও করা হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement